সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
আপ লাইনে সকাল ৯টায় ও বিকেল ৪টে ২৪ মিনিটে দু’টি ট্রেন থামে এবং ডাউন লাইনে সকাল ৭টা ৪৪ মিনিট ও বিকেল ৩টে ৩৫ মিনিটে দুটি ট্রেন থামে।অর্থাৎ সারাদিনে থামে মাত্র দুটি ট্রেন।পূর্ব রেলের আসানসোল বিভাগের বর্ধমান-আসানসোল রুটের ঈশানচণ্ডী হল্ট স্টেশন সম্পর্কে তাই এলাকাবাসীর বক্তব্য, ‘নামেই স্টেশন।সারাদিনে মাত্র দুটি গাড়ি এখানে থামে অথচ বর্ধমান আসানসোল লাইনে অনেক প্যাসেঞ্জার এবং মেলগাড়ি রয়েছে সেগুলি এখানে থামে না।’ গলসি ২ ব্লকের,খানো,উড়া প্রভৃতি একাধিক গ্রামের মানুষ এই হল্ট স্টেশনটিকে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন কিন্তু সময়ে ট্রেন না থাকায় আতান্তরে পড়ছেন তাঁরা।সারা দিনে মাত্র দুটি ট্রেন সকালে এবং বিকেলে।
দুপুরে কোন ট্রেন নেই।ফলে এই সময় যাতায়াত করতে হলে ঘুরপথে বাসের উপরেই নির্ভর করতে হয়।এলাকাবাসীর বক্তব্য, ‘ট্রেন হলে এখান থেকেই ধরা যায় কিন্তু বাস ধরতে গেলে প্রথমে টোটো করে জাতীয় সড়ক ২ আসতে হয়।তারপর সেখান থেকে বাস ধরে নিজে নিজের গন্তব্যে যাওয়া সেটা অনেকটা হ্যাপা।তাছাড়া বাসের ভাড়াও ট্রেনের থেকে অনেকটা বেশি।তাই ট্রেন লাইন এবং স্টেশন থাকা সত্ত্বেও আমাদের গাঁটের করি খরচা করে বাসেই যাওয়া আসা করতে হয়।’ আসানসোলের ডিআরএম পিকে মিশ্রর কাছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়।রেলের তরফে জানানো হয়, স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানো ওই স্টেশনে টিকিট বিক্রির ওপর তা নির্ভর করে।এখন এইক্ষেত্রে কতটা টিকিট ঈশান চন্ডী হল্ট থেকে বিক্রি হচ্ছে তা দেখে,তার উপরেই নতুন ট্রেনের স্টপেজ দেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করা হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584