শিব শংকর চ্যাটার্জ্জী,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
যাত্রীবাহী বাস পড়ল পুকুরে।দুর্ঘটনায় আহত প্রায় ২০ জন।রবিবার ভর দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের ২নং জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝিনা এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে নালাগোলা বালুরঘাট(চকভৃগু) রুটের একটি যাত্রীবাহী বাস বালুরঘাট অভিমুখে আসছিল।সেই সময় হঠাৎ বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায়।
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুরে নেমে বাসের ভিতরে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে।এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী দুর্ঘটনাস্থলে পৌছায়।স্থানীয় বাসিন্দা বাবুন বর্মণ জানান বাসের ভিতরে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করার পাশাপাশি যাত্রীদের ব্যাগ সহ গুরুত্বপূর্ন জিনিসপত্র তারা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।দুর্ঘটনার কারন হিসাবে বাসটির চালকের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে বিস্ফোরক অভিযোগ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটির যাত্রী তরুণ শীল বলেন “আমার মনে হয় বাসের চালক হয় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন অথবা বাস চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলছিলেন।এই একই অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় ফল ব্যবসায়ী তাপস বর্মন-এরও।তাপস বর্মণ বাসের চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে করে তার ফলের ব্যবসার ফল আসছিল এবং তিনি বাসটি থেকে ফল নিতে গিয়ে দেখেন বাসের চালক মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাস চালাচ্ছেন।এরপরেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে পড়ে যায় বলে জানান তাপস বর্মণ।দুর্ঘটনার পর থেকে পলাতক বাসের চালক।
ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগীতায় পুলিশ আহতদের বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্ত্তি করে।এই ঘটনা আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিল ট্রাফিক আইনকে অবজ্ঞা করে এবং এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জারি করা নিষেধাজ্ঞাকে অবজ্ঞা করে গাড়ী চলানোর সময় চালকরা কিভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে।দুর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশের ডি.এস.পি (ডি.এন.টি) অমিত পাল জানান দুর্ঘটনায় ১০-১২ জন আহত হয়েছে।
এর পাশাপাশি মোবাইলে কথা বলার জন্য দুর্ঘটনা কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন বিষয়টি তদন্তের বিষয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584