পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
অসমের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মেলবন্ধন ঘটাতে উদ্যোগী হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের একদল যুবক। অসমের ঐতিহ্যবাহী মেখলা শিল্পকে এলাকায় নিয়ে এসে একাধারে যেমন বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি কাজের জন্য ভিন রাজ্যে যাওয়ার প্রথাকে বন্ধ করতে এগিয়ে এসেছেন তারা।
এলাকায় মেখলা শিল্পকে কুটির শিল্পের অন্যতম জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে এই যুবকদল। তাদের এই ঐকান্তিক প্রয়াসকে প্রশংসা না করে এড়িয়ে যেতে পারেনি প্রশাসনও। প্রয়োজন পড়লে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে প্রশাসন।
একসময়ে কাজের সন্ধানে গুজরাটের সুরাট, কলকাতা,নাগপুর চলে গিয়েছিল মোহাঃ বসির, শেখ আজহার, মোহাঃ খুদাবক্সরা।
সেখানে গিয়েই অসমের বিখ্যাত মহিলাদের পরনের মেখলা তৈরি করার পদ্ধতি রপ্ত করেন তারা। দীর্ঘদিন ভিনরাজ্যে কাজ করার পর পরিবারের টানে ফিরে আসেন এলাকায়। সেখানেই নিজেদের শিখে আসা মেখলা তৈরির শিল্পকে কাজে লাগানোর কথা মাথায় এনে একে একে একাধিক কারখানা গড়ে তোলেন তারা।অন্য রাজ্যে থাকা এই শিল্প জানা এলাকার যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোয়ালপোখরে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন তারা। তারপরই একে একে তাদের তৈরি করা মেখলার চাহিদা তুঙ্গে পৌছায়। বর্তমানে এক একটি কারখানা থেকে মাসে ১২০০-১৫০০ মেখলা বানাতে সক্ষম এই যুবকেরা অসম, পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্ডার পাচ্ছেন। ওই যুবকরা দাবি করেন বাইরে গিয়ে কাজ করার চেয়ে বাড়িতে থেকে কাজ করায় অনেকটাই সুবিধা হচ্ছে তাদের।
আরও পড়ুনঃ প্রতাপপুর সার্বজনীন দূর্গোৎসব কমিটির খুঁটিপুজো ঘিরে উদ্দীপনা
বাড়ির মহিলারও এই কাজে হাত বাড়িয়েছন। ফলে কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে যুবকেরা। এই কুটির শিল্প প্রশাসনের নজরে আসতেই সাধ্য অনুযায়ী সরকারি সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
স্বভাবতই কর্মসংস্থানের পাশাপাশি কুটির শিল্পের নতুন দিশা দেখাচ্ছে গোয়ালপোখরের যুবকেরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584