শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
করোনা চিকিৎসার পরেও রোগমুক্তি ঘটেও শারীরিক দুর্বলতায় মৃত্যু ঘটছে অনেকেরই। তার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে চিকিৎসকরা দেখেছেন, বিভিন্ন কো-মরবিড উপসর্গের মধ্যে অন্যতম কারণ হল যক্ষা। কোভিডের শ্বাসকষ্টের সঙ্গে যক্ষা মিলে গেলে সুস্থ হওয়ার পরেও বাঁচানো মুশকিল হচ্ছে রোগীকে। সামান্য শ্বাসকষ্ট এলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন রোগী।

তাই এবার করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের যক্ষ্মা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর। এই নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এবার থেকে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসার ৭ – ২১ দিনের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থায় বিনামূল্যে যক্ষ্মা পরীক্ষা করাতে হবে।
চিকিৎসকদের দাবি, করোনা ও যক্ষ্মা একসঙ্গে হলে লক্ষ্মণ দেখে যক্ষ্মাকে চিহ্নিত করা প্রায় অসম্ভব। করোনা সেরে গেলেও যক্ষ্মা থেকে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বিদায় নিল এমসিআই
এক্ষেত্রে যক্ষ্মা চিহ্নিত করে সেই রোগীদের প্রতি বিশেষ নজর না দিলে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার আগেই ফের করোনার শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হবে। সেই কারণে স্বাস্থ্য দফতরে করোনার মুক্তির পর যক্ষা পরীক্ষা করতে বলা হয়েছিল। সেই দাবি মেনে নিল স্বাস্থ্যভবন।
আরও পড়ুনঃ আজ থেকে রাজ্যজুড়ে ফের শুরু হচ্ছে আধারের কাজ
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এখনো পর্যন্ত করোনা মুক্ত হওয়ার পর অন্তত ১৪৩ জন রোগীর দেহে যক্ষ্মা সংক্রমণ মিলেছে। আর তার সঙ্গে অন্তত ২০২৪ জনের দেহে যক্ষ্মার লক্ষ্মণ দেখা গিয়েছে। তাদের ইতিমধ্যে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584