নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
জঙ্গলের রাজত্ব গিয়েছে! তাতেও রাজকীয় মেজাজ এতটুকু কমেনি ‘রাজার’। দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রের আবাসিক বৃদ্ধ বাঘ ‘রাজা’ এবার ২৪ বছর পার করে ২৫ বছরে পড়ল। বন কর্তাদের মতে, ২৫ বছর কোনও বাঘের বেঁচে থাকা বিরল ঘটনা।
বনদপ্তরের সূত্র জানা গিয়েছে, সুন্দরবন থেকে রাজাকে ২০০৮ সালে স্থায়ীভাবে ২০ তম আবাসিক হিসেবে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। তারপর একে একে সব বাঘ মারা গেলেও এখনও রাজকীয়ভাবে বেঁচে আছে রাজা।
খাঁচার পাশাপাশি রাজার ঘোরাফেরা করার জন্য খাঁচার পাশে তারের জালি দিয়ে ঘেরা জঙ্গল মেশানো বাগানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানেই রাজা রাজার মতো রাজকীয় ভাবে ঘুরে বেড়ায়। রয়্যাল বেঙ্গল বলে কথা। তাই রাজা মুরগির মাংস মুখে তোলে না।
আরও পড়ুনঃ বিশালাকৃতির শংকর মাছ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য দীঘায়
দৈনিক তার জন্য চাই গবাদিপশুর কলিজার তাজা মাংস। তার মেনুতে থাকে রোজ দশ কেজি মাংস। স্নান না করলে রাজার চলে না। প্রতিদিনই স্নান করে। সপ্তাহে বৃহস্পতিবার তাকে খাবার দেওয়া হয় না।
খালি জল রাজাকে দেওয়া হয় না। জলের সঙ্গে গ্লুকোজ মিশিয়ে দেওয়া হয়। তাছাড়াও দেওয়া হয় প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র। আজও রাজার হুঙ্কারে ফালাকাটার দক্ষিণ খয়েরবাড়ি গ্রামের আশপাশ থরথর করে কেঁপে উঠে।
বনদপ্তরের বিশেষজ্ঞদের মতে, বন্য পরিবেশে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার সাধারণত ১৮-১৯ বছরের বেশি বাঁচে না।২৫ বছর কোনও বাঘের বেঁচে থাকা বিরল ঘটনা।
জলদাপাড়া বনবিভাগের ডিএফও কুমার বিমল বলেন, ‘ বন্যবাঘের যত্নে আমরা কোনও ত্রুটি রাখি না। যদিও বন্দি দশায় বাঘের পঁচিশ বছর বেঁচে থাকাটা সত্যিই বিরল। আমরা রাজার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584