লোভের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা,খোয়ালেন টাকা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঘাটালঃ

উড়ো ফোনে লক্ষ্মী লাভের আশায় বেশ কয়েক হাজার টাকা খোয়ালেন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা৷ দিন কয়েক আগে ফোনে একটি বাণিজ্যিক সংস্থার নাম করে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ও ৫ গ্রাম সোনার আংটির প্রস্তাব পান দাসপুর-২ ব্লকের চাঁইপাটের শেফালি সামুই৷বেশ কয়েকবার কথা বলার পরে, অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তির সাথে কথা বলে নিজের নাম ও ঠিকানা বিস্তারিত জানান শেফালিদেবী৷সেই মতো শেফালিদেবীকে বলা হয়,পাঁচ গ্রাম ওজনের সোনার অাংটি ও সাড়ে তিন লক্ষ টাকা চেক কয়েক দিনের মধ্যেই কুরিয়ারে পাঠানো হবে শেফালিদেবীর ঠিকানায়৷
শেফালিদেবী গ্রামপঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ করেন, খুবই সামান্য রোজগার৷ তাঁর আশা এবার তিনি লাখপতি হবেন! এত টাকা নিয়ে কোথায় জমা করবেন, এই সব সাত-পাঁচ বিষয় নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান শেফালাদেবী৷বিষয়টি পাঁচকান করতে দেওয়া এখনই ঠিক হবে কিনা সেই নিয়েও দ্বন্দ্ব চলতে থাকে মনের অন্দরে৷ কুরিয়ার মারফৎ ওই পার্সেল হাতে পেয়ে খুশির খবর প্রতিবেশীদের জানাবেন,এমনটাই ভেবে অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকেন শেফালিদেবী৷গত বুধবার সকালে কুরিয়ার পৌঁছায় শেফালিদেবীর ঠিকানাতে৷নগদ ৩২০০ টাকা মিটিয়ে কুরিয়ার হাতে নিয়ে,গোপনে প্যাকেট খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ! চেকের বদলে রয়েছে একটি হিন্দি দৈনিকের পুরাতন খবর কাগজ ও সোনার অাংটির বদলে একটি প্লাস্টিকের রিং৷এর পরেই সংস্থার দেওয়া নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেণ শেফালিদেবী, কিন্তু বহুবার চেষ্টা করেও ফোন মেলেনি৷ শেফালিদেবী বলেন, লটারি জিতেছি জেনেই পুরস্কারের আশা করেছিলাম৷ ১০০ দিনের কাজের পারিশ্রমিকে বর্তমানে সংসার চলে৷উপার্জনের টাকা এই ভাবে চলে যাবে এটা ভাবতেও পারিনি৷স্থানীয় বাসিন্দা প্রনব ধাড়া,সন্তোষ সামুই একযোগে জানান,উনি প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন সন্দেহ নেই৷যদি আগে বিষয়টি আলোচনা করতেন তাহলে সতর্ক করতে পারতাম৷এখন ওনাকে থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ জমা করার পরামর্শ দিয়েছি৷

আরও পড়ুন: অসময়ের গনেশ পুজোয় উদ্দীপনা ভুবননগর গ্রামে