নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
সপ্তমীর সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের জুনপুট কোষ্টাল থানার দৌলতপুর গ্রামে একটি ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছিল আনিশ পাত্র (১২) নামের এক বালকের মৃতদেহ।
আর সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই খুনের কিনারা করে তাক লাগিয়ে দিল পুলিশ।ঘটনার খবর পেয়েই মামলার তদন্তে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীন) ইন্দ্রজিৎ বসু, এসডিপিও পার্থ ঘোষ সহ জুনপুট কোষ্টাল ও কাঁথি থানার পুলিশ কর্তারা।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে,ওইদিন সন্ধ্যের কিছু পর স্থানীয় প্রদীপ শিটের সাইকেল দোকানের কাছে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে কথা বলছিল আনিশ।আর বিষয়টি দেখেছিল আনিশের এক দাদা।সেই সূত্র ধরেই পুলিশ ওই সাইকেলের দোকানদারকে প্রথমে আটক করে।
তারপর ওই জায়গায় যারা আড্ডা দিচ্ছিল সেই যুবকদেরও আটক করে কাঁথি থানায় নিয়ে আসে।তবে প্রথম দিকে অভিযুক্তরা পুলিশকে ভুল পথে পরিচালনার ব্যাপক চেষ্টা চালায়। পরে বিকেলের দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ কুকুর নিয়ে গিয়ে তদন্ত শুরু হতেই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে আসে।
ঘামের গন্ধ থেকেই এক অপরাধীকে সনাক্ত করে কুকুর।তারপরেই পুলিশ ওই যুবককে চেপে ধরতেই বেরিয়ে আসে গোটা ঘটনাটি। জানা যায়,আনিশকে অপহরণ করে টাকা আদায়ের ছক কষেছিল অভিযুক্তরা।এরজন্য মুখে রুমাল বেঁধে রাস্তায় আনিশকে পাকড়াও করে তাঁরা। কিন্তু এরই মধ্যে একজনের রুমাল সরে যেতেই তাঁকে চিনে ফেলে আনিশ।
আর এর জন্যই তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহটি বালি দিয়ে চাপা দিয়ে পালায় তারা। যদিও পুলিশের তৎপরতায় শেষ রক্ষা হয়নি।এই ঘটনায় প্রদীপ শিট ও সেখ খুরশিদকে গ্রেফতার করেছে।ধৃতরা স্বীকার করেছে,তাঁরা ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপন আদায়ের পরিকল্পনা করেই ছেলেটিকে অপহরণের ছক কষেছিল।
বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে যান-
https://newsfront.co/unnatural-death-of-six-class-student/#.W8XHY96mF6o.whatsapp
আজ তমলুকে সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ সুপার ডি. সোলেমান নেশাকুমার জানান, সকাল ৬.৩০টা নাগাদ মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই পুলিশ ৬ সন্দেহভাজনকে পাকড়াও করে।তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েই ঘটনার সত্যতা উঠে এসেছে।এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584