নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুরঃ
শেষ রক্ষা হল না। নাম গোপন করে ৬ বছর লুকিয়ে থাকার পর বুধবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ল দিনহাটা খুনে অভিযুক্ত মহিলা। নাম ভাঁড়িয়ে চারশো কিলোমিটার দূরে রায়গঞ্জে বোনের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন অভিযুক্ত মঞ্জু সাহা ওরফে পূর্ণিমা। থেকেও শেষ রক্ষা হল না। এদিন রায়গঞ্জ থানার পুলিশ চন্ডীতলার একটি বাড়ি থেকে খুনে অভিযুক্ত মঞ্জু ও তার বোন সরস্বতী ঘোষকে গ্রেফতার করে।
ধৃতদের এদিনই আদালতের মাধ্যমে দিনহাটা পুলিশের হাতে তুলে দেয় রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটায় সুবোধ চক্রবর্তী ও আরতি চক্রবর্তী নামে এক দম্পতির বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করত মঞ্জু সাহা। ২০১৪ সালে একরাতে ওই দম্পতিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে খুন করার চেষ্টা করে সে। ওই দম্পতির সম্পত্তি লুঠ করার উদ্দেশ্য ছিল তার।
আরও পড়ুনঃ আপার প্রাইমারির চাকরি প্রার্থীরা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়কের দ্বারস্থ
মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধে আরতিদেবীর মৃত্যু হলেও সুবোধবাবু হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বেঁচে যান। ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় পরিচারিকা মঞ্জু সাহা। পুলিশ মূল অভিযুক্তকে খুঁজে পাচ্ছিল না।অবশেষে রায়গঞ্জে বোনের বাড়িতে মূল অভিযুক্তের সন্ধান পায় পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ আলিপুরদুয়ারে আরো ২ জন করোনায় আক্রান্ত
রায়গঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপম সিং জানিয়েছেন, ‘দিনহাটা পুলিশের কাছ থেকে সূত্র পেয়ে রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপা সহ পুলিশ বাহিনী চন্ডীতলায় তল্লাশি চালিয়ে সরস্বতী ঘোষের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত পরিচারিকা মঞ্জু সাহা ও তার বোনকে গ্রেফতার করে। জেরায় খুনের ঘটনার পাশাপাশি নিজের নাম বদল করে লুকিয়ে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত মঞ্জু সাহা।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584