শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
উত্তরপ্রদেশের হাথরাস কাণ্ড ছাপিয়েও পশ্চিমবঙ্গে সপ্তাহের প্রথম দিন তোলপাড় হয়েছে টিটাগড় পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর তথা এলাকার জনপ্রিয় তরুণ নেতা মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনা। মঙ্গলবার সকালেই ব্যারাকপুর এলাকা থেকেই খুনে জড়িত অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করলেন তদন্তকারীরা।
সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম মহম্মদ খুররম এবং গুলাব শেখ। এদের সঙ্গে পুরনো শত্রুতার জেরে মণীশকে খুন হতে হয়েছিল বলে দাবি সিআইডির। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ মণীশ শুক্লা খুনের তদন্তভার সিআইডি-র হাতে সমর্পণ নবান্নের
সিআইডি তদন্তকারীদের দাবি, পুরো ঘটনার নেপথ্যে মহম্মদ খুররম। খুনের ছক কষে সেই পেশাদার শুটার গুলাব শেখকে ভাড়া করে নিয়ে আসে।সিসিটিভি ফুটেজ এবং পারিপার্শ্বিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দু’টি বাইককে চিহ্নিত এবং একজন আততায়ীকে শনাক্ত করা গিয়েছিল। পরে ফুটেজের সূত্র ধরেই খোঁজ পাওয়া যায় খুররমের। তার কাছ থেকে জেরা করে হদিশ মেলে গুলাব শেখের। একমাস ধরে মণীশের গতিবিধির ওপর নজর রেখে নিখুঁত পরিকল্পনা করে তবেই এই খুন করা হয়েছে, এমনটাই দাবি গোয়েন্দাদের।
আরও পড়ুনঃ রাজভবনে মণীশ শুক্লার মরদেহ নিয়ে যেতে আটকাল পুলিশ, রণক্ষেত্র ধর্মতলা চত্বর
এমনকি মণীশের কাছে যে তাঁর লাইন্সেস পিস্তল পর্যন্ত আত্মরক্ষার জন্য ছিল না, সে কথাও জানত মণীশ ঘনিষ্ঠেরা জানিয়েছেন ৷ দেহরক্ষী না থাকলে আগে মণীশ নিজের লাইসেন্সড পিস্তল সঙ্গে রাখতেন। কিন্তু মণীশের সঙ্গীদের দাবি, মণীশের পিস্তলের লাইন্সেস ভিন রাজ্য থেকে ইস্যু হওয়ায় ছ’মাস আগে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পক্ষ থেকে তার লাইন্সেস যাচাই করার জন্য পিস্তল পুলিশের কাছে জমা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ খুনকে আত্মহত্যা বানিয়ে দেবে! ময়না তদন্তে অনাস্থা বিজেপি নেতৃত্বের
ফলে সুযোগ বুঝেই খুন করা হয়েছে মণীশকে। গোয়েন্দারা এটাও জানতে পেরেছেন, খুররমের বাবা সিপিএম করতেন, তার হত্যাকাণ্ডেও উঠে এসেছিল মণীশের নাম। তাই রাজনৈতিক আক্রোশের বদলে ব্যক্তিগত আক্রোশই এই ঘটনার জন্য দায়ী বলে দাবি সিআইডির।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584