তপসিয়ায় যুবক খুন রহস্যে ধৃত দাদা-কাকিমা, নেপথ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক

0
141

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

নিজের বাড়ির বিছানাতেই গলা কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছিল তপসিয়ার যুবক অভিজিৎ রজকের। তাঁর পরিবারের বয়ান অনুযায়ী, ভোর সাড়ে ৪ টা নাগাদ পরিবারের সদস্যরা বাড়ির মূল দরজার তালা ভাঙা এবং দুটি সাইকেল উধাও দেখেছিলেন।

Criminal | newsfront.co
ধৃত দাদা। নিজস্ব চিত্র

কিন্তু তদন্তে নেমে সমস্ত সূত্র যাচাই করে ওই যুবকের দাদা-কাকিমাকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম চন্দন রজক এবং প্রিয়াঙ্কা রজক। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনার তদন্তে উঠে এল কাকিমার সঙ্গে দাদার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের চাঞ্চল্যকর তথ্যও।

woman | newsfront.co

প্রসঙ্গত, ১ সেপ্টেম্বর ভোররাতে তপসিয়ার বামনপাড়ায় এই ঘটনা শুনে চমকে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে আসে দক্ষিণ পূর্ব ডিভিশনের পুলিশ কমিশনার দেবস্মিতা দাশের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় সূত্র থেকে পুলিশ জানতে পারে, হোটেলে কাজ করতেন ওই যুবক। তবে তার কোনো শত্রু ছিল না। তাহলে কেন খুন হতে হল ওই যুবককে? সূত্র খুঁজতে রীতিমত মাথার চুল ছেঁড়ার মত অবস্থা হয়েছিল তদন্তকারীদের।

আরও পড়ুনঃ মহিলা কর্মীদের কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ নোয়াপাড়ার স্থানীয় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে

কোনওভাবেই কোন সূত্র না পেয়ে শেষ পর্যন্ত পরিবারের লোকজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। ক্রমাগত জেরার মুখে ভেঙে পড়েন দাদা-কাকিমা। জানা যায়, সাইকেল চুরির গল্প ফেঁদে তারা নিজেদের দিক থেকে নজর ঘোরাতে চেয়েছিল। খুনের কারণ হিসেবে উঠে আসছে কাকিমার সঙ্গে দাদার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টিও।

আরও পড়ুনঃ আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের শুনানি ৯ সেপ্টেম্বর

জানা গিয়েছে, কাকা সোমনাথ রজক বেশিরভাগ সময়েই বাড়িতে থাকতেন না। সেই সূত্রে অভিযুক্ত দাদা চন্দন রজকের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল কাকিমা প্রিয়াঙ্কা রজক। কিন্তু একদিন তাদের চোখের সামনে অবৈধ কার্যকলাপের সময়ে দেখে ফেলে অভিজিৎ। সে কাকাকে সমস্ত কিছু জানিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছিল।

কিন্তু তার আগেই সুনিপুণ পরিকল্পনায় তাকে খুন করে পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে তারা দু’জনে। সেই মতই অভিজিৎ কে তার বিছানাতেই ঘুমন্ত অবস্থায় খুন করে চাদর চাপা দিয়ে দুটো সাইকেলকে গায়েব করে দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যদিও তাদের অসংলগ্ন আচরণ এবং কথাবার্তাতেই সন্দেহ হয় পুলিশের। তারপর ক্রমাগত জেরার মুখে অভিযুক্তরা নিজের দোষ স্বীকার করে নেয়।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here