শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
বকেয়া ৯০০ টাকা চাওয়ার জন্য দুই যুবকের হাতে রীতিমত নিগৃহীত হতে হল দুই হোটেলকর্মীকে। যার মধ্যে বরুণ সাউ নামে একজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ফুলবাগান থানা এলাকার নারকেলডাঙা মেন রোডের একটি রেস্তোরাঁয়।
আরেক আহত হোটেলকর্মী শিবকুমার সাহুর অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু করে লালু যাদব নামে একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুকেশ যাদব নামে আরেক অভিযুক্ত পলাতক।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ ৯৩ নারকেলডাঙা মেন রোডের ওই রেস্তোরায় আসে লালু ও তার বন্ধু মুকেশ। এসে তারা কিছু খাবার কিনতে চায়। সেই সমযে শিবকুমার তাদের খাবার দিতে প্রথমে অস্বীকার করে। তার পরে জানায়, তাদের আগের বকেয়া ৯০০ টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। আর এতেই ক্ষেপে যায় ওই দু’জন।
আরও পড়ুনঃ পুলিশের ফিল্মি কায়দায় হরিনের চামড়া সহ গ্রেফতার ২ পাচারকারী
প্রথমে তারা শিবকুমার সাহুর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। তারপর শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। আরও উত্তেজিত হয়ে একটি কাঠের বাটাম নিয়ে এসে মারধর করতে থাকে শিবকুমারকে। সহকর্মীকে চোখের সামনে মার খেতে দেখে তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে বরুণ সাউ। কিন্তু তাকেও ছেড়ে দেয়নি আক্রমণকারীরা। তাকেও রীতিমত নিগ্রহের শিকার হতে হয।
মুখে ও মাথায় ভয়াবহ আঘাত লাগে বরুণের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সঠিক সময়ে হাসপাতালে না আনলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত ওই যুবকের। আপাতত আশঙ্কাজনক হলেও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে ওই যুবক। প্রথমে ওই দুই আহত যুবককে স্থানীয় নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করানো হয়। পরে বরুণকে পাঠানো হয় বাইপাসের ধারে অ্যাপোলো হাসপাতালে।
আরও পড়ুনঃ মাদক কারবারে মা-ছেলে, দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ওই দুই যুবক। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে লালু যাদবকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।
তার আগেই আহত শিবকুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় মামলা দায়ের করে নিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু মুকেশকে এখনও পাওয়া যাযনি। তার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে আর কোনও কারণ আছে কি না, তা জানতেও তদন্ত শুরু হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584