ভাস্কর ঘোষ, মুর্শিদাবাদ:প্রতুল মুখোপাধ্যায় গেয়েছেন- সব মরণ নয় সমান মরণে মরণে ফারাক আছে ভাই। সে গানের প্রেক্ষাপট ভিন্ন কিন্তু যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ পংক্তির উল্লেখ তিনি জীবিত থেকেও মৃত।ঘটনার প্রকাশ মুর্শিদাবাদের সুতি থানার বংশবাটি গ্রামের ষষ্ঠী মাঝিকে জীবিত অবস্থাতেই তিন বছর আগে সরকারি খাতায় মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। বাধ্যর্কজনিত অসুখে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে রবিবার সন্ধ্যায় ষষ্ঠী বাবুর মৃত্যু হয়।তাঁর মৃত্যুর পর সেই বংশবাটি গ্রামপঞ্চায়েতেই আবার তাঁর মৃত্যু নথিভুক্ত করা হল।
সুতি – ১ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠী মাঝির স্ত্রী বেলা মাঝির মৃত্যু হয়। সেইসময় ভিলেজ সার্ভে রিপোর্টে ভুল করে মৃত দেখিয়ে ষষ্ঠী মাঝির নাম বাদ দেওয়া হয়। বিপিএল তালিকা থেকেও তাঁর নাম কেটে দেওয়া হয়। এমনকি সরকারি খাতায় তাঁকে মৃত দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় বার্ধক্য ভাতাসহ সকল প্রকার সরকারি সুযোগসুবিধা।
এই বিষয়ে সুতি-১ ব্লকের বিডিও দীপঙ্কর রায়ের বিবৃতি নিতে নিউজফ্রন্ট এর পক্ষ থেকে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি কেটে দেন।

মৃত ষষ্ঠী মাঝির ছেলে বাসুদেব মাঝি বলেন, ২০১৪ সালে বাবাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল। বিপিএল তালিকা থেকেও বাবার নাম কেটে দেওয়া হয়েছিল। বাবা ২ টাকা কেজি দরে চাল গম পেতেন না। বার্ধক্য ভাতার টাকায় চলত বাবার সংসার,কিন্তু তিন বছর ধরে সে টাকাও বন্ধ হয়ে গেছে। হন্যে হয়ে বার বার পঞ্চায়েত ব্লকের দরজায় দরজায় ঘুরেছি। কিন্তু কোন কাজের কাজ হয়নি। জীবিত থেকেও সরকারি খাতায় মৃত দেখানো হয়েছিল বাবাকে। এখন সরকারি হাসপাতাল থেকে ফের মৃত্যুর সার্টিফিকেট পঞ্চায়েতে জমা দেওয়া হল।
জানা গিয়েছে, বছর ৭০-র ষষ্ঠী মাঝি দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্য জনিত কারনে ভুগছিলেন।শুক্রবার সকালে তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
বংশবাটি গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান খুকি রাজবংশি বলেন, ভিলেজ সার্ভ রিপোর্টে ভুল করে মৃত দেখানো হয়েছিল।আমরা অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু কোনভাবেই তা সংশোধন করা যায়নি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584