নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
কেশপুরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, বোমাবাজি। বোমার আঘাতে মৃত এক চোদ্দ বছরের কিশোর-সহ দুই জন, আহত তিন। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর থানার অন্তর্গত দামোদরচক এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কেশপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল দীর্ঘদিনের। একই ভাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। শুরু হয় বোমাবাজি। বোমার আঘাতে জখম হয় শেখ মাজাহার নামে বছর চোদ্দের এক ছাত্র।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। একই ভাবে বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হয় মোহাম্মদ নাসিম নামে আরও এক তৃণমূল কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনায় জখম এক মহিলা-সহ দু’জন ভর্তি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনায় নিহত তৃণমূল কর্মী মহম্মদ নাসিমের পরিবারের দাবি, কেশপুরের বর্তমান ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠীর ঘনিষ্টরা বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁদের গ্রামেরই এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করে। এই নিয়েই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। এরপর তাঁদের চার দিক থেকে ঘিরে মুহুর্মুহু বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের।
মৃত নাসিমের দাদা শেখ তানসুর আহমেদের দাবি, কেশপুরে তৃণমূলের পূর্বতন ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পানের সাথে বর্তমান ব্লক সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠীর গোষ্ঠী কোন্দলের কথা বারবার দলকে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি দলের তরফে। গোটা ঘটনার পিছনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেই দায়ী করেছে মৃতের পরিবার।
হামলাকারীরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের এ কথা স্বীকার করে নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, এটি একটি পারিবারিক বিবাদ। পুলিশকে নিরপেক্ষ তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আবেদন জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। খবর পেয়ে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কেশপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584