শুভশ্রী মৈত্র, ওয়েব ডেস্কঃ
২০১২ সালে ধর্ষণের পরীক্ষা হিসেবে টু ফিঙ্গার টেস্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল এই পরীক্ষাকে অবৈজ্ঞানিক আখ্যা দেয়। সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করে টু ফিঙ্গার টেস্ট মহিলাদের জন্য অসম্মানজনক। তারপরেও দেশের সেনাবাহিনীর একজন চিকিৎসক কিভাবে এই পরীক্ষা করেন! প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় মহিলা কমিশন।
কয়েকদিন আগে সংবাদমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ্যে আসে যে কোয়েম্বাত্তুরে বায়ুসেনার কলেজে এক মহিলা সেনাকর্মী ধর্ষণের শিকার হন। তাঁরই এক সহকর্মীর বিরুদ্ধেই ধর্ষণের অভিযোগ আনেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ওই মহিলা সেনাকর্মী অভিযোগ জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর এক চিকিৎসক ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণের জন্য তাঁকে নিষিদ্ধ টু ফিঙ্গার টেস্ট করতে বলেন। নির্যাতিতার অভিযোগ যখন পরীক্ষাটি করা হয় তখন তিনি জানতেন না যে এটি নিষিদ্ধ। তবে পরীক্ষাটি করার সময় তিনি দ্বিতীয়বার ধর্ষণের ‘ট্রমা’ র মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ মালদায় একদিনে ৪ শিশুর শরীরে মিলল করোনাভাইরাস, অজানা জ্বরে মৃত ১০
জাতীয় মহিলা কমিশন নির্যাতিতার এই অভিযোগের বয়ানের ভিত্তিতেই জানিয়েছে যে ভাবে ওই মহিলাকে তাঁর যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা মনে করানো হয়েছে তা নিন্দনীয়। কমিশন জানিয়েছে, বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষের এই কাজে তারা হতাশ এবং তারা ঘটনাটির নিন্দা করছে। যে ভাবে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে, তা দেশের বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষের কাছে কাম্য নয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584