নার্স রেণু খাতুনের কব্জি কাটার কাণ্ডে ভরতপুর থেকে গ্রেফতার আরও ২

0
71

রঙ্গিলা খাতুন, মুর্শিদাবাদঃ  

স্ত্রীর হাত কেটে নেওয়ার অপরাধে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন স্বামী শরিফুল। এবার এই ঘটনায় তার দুই সঙ্গীকেও গ্রেফতার করল পুলিশ। সূত্রে খবর, রেণু খাতুনের হাত কাটার সময় তারা শরিফুলের সঙ্গী ছিল। পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। শরিফুল তাদের ‘ভাড়া’ করেছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে সরকারি চাকরি পাওয়ায় বধূর হাত কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীর ২ সহযোগীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানা এলাকার তালগ্রাম থেকে ওই ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন আধিকারিকরা।  ভিনরাজ্যে পালানোর ছক কষেছিল ধৃতরা। তবে গোপন সূত্রে এই খবর পেয়েই তড়িঘড়ি হানা পুলিশের। ভোররাতে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত। ধৃতদের দফায়-দফায় জেরায় চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি।

নিজস্ব চিত্র

উল্লেখ্য গত শনিবার রাতে কেতুগ্রামে নার্সিংয়ের চাকরির জন্য নির্বাচিত হন কিন্তু তাতে সম্মতি না থাকায় রেণু খাতুনের ডান হাত কবজি থেকে কেটে নেন তাঁর স্বামী শরিফুল। ঘটনার জেরে গোটা রাজ্যে শোরগোল পড়ে যায়। ওই ঘটনার পরদিনই রেণুর শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার জেলা ছেড়ে পালানোর সময় গ্রেফতার হয় শরিফুল এর পর তাঁকে জেরা করে জানা যায়, আরও ২ সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে রেণুর হাত কেটেছিল।  এরপরই শরিফুলের ২ সহযোগীর সন্ধানে নামে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভরতপুর থেকে গ্রেফতার হয় আসরাফ সেখ ও হাবিব সেখ। ধৃতরা শের মহম্মদের পূর্বপরিচিত বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কেন তারা এই কাজে শরিফুলকে সাহায্য করল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ উত্তরণ কোচিং সেন্টারের নার্সিং ছাত্র ছাত্রীদের বিদায় সংবর্ধনা

যদিও ধৃত আসরাফ আলী সেখ এবং হাবিব সেখের পরিবার তাদের  নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে। আশরাফুল সেখের মা আয়েশা বিবি বলেন ” ছেলে দীর্ঘদিন ধরে কেরালায় কাজ করে গত একমাস আগে বাড়িতে ফিরেছে। তাকে কেউ ফাঁসানো চেষ্টা করছে। অন্যদিকে হাবিব সেখের বোন মমতাজ বিবি বলেন “আমার ভাই সাদা সিধে মানুষ, এতো বড়ো কাজ করতে পারেনা। “

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here