নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
হলদি নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার হল আরও ২ মৎস্যজীবীর মৃতদেহ। ঘটনার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে দুই জনের দেহ উদ্ধার হল আজ। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪-৫ কিমি দূরে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। মৃত্যু বেড়ে দাঁড়াল ৩,তবে এখনও একজন নিখোঁজ। তার সন্ধানে পুলিশের পাশাপাশি তল্লাশি চালাচ্ছে উপকূলরক্ষী বাহিনী ও এনডিআরএফ।
শনিবার নন্দীগ্রামের কেন্দামারি জলপাই গ্রামের হলদি নদীতে মাছ ধরতে যান ১৪ জন মৎস্যজীবী। কিছুটা দূরে গিয়েই জোয়ারের ধাক্কায় ডুবে যায় ট্রলার। যদিও জোয়ারের কারণে পুলিশ প্রশাসনের তরফে আগেই নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে বেরনোই কাল হল মত্স্যজীবীদের।
আরও পড়ুনঃ ৩৮ জন স্ত্রী, ৮৯ জন সন্তান! মারা গেলেন বিশ্বের বৃহত্তম পরিবারের প্রধান মিজোরামবাসী জিয়না চানা
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ১১টা নাগাদ নন্দীগ্রামের কেন্দামারি জলপাই থেকে ১৪ জন মত্স্যজীবী ‘মা করুণাময়ী’ নামে একটি ট্রলারে করে মাছ ধরতে বেরোন হলদি নদীতে। ট্রলারে রাখা ছিল ডিজেলভর্তি বড় বড় ব্যারেল। জোয়ারের ঢেউয়ে ধাক্কা লেগে কাত হয়ে যায় ট্রলার। ফলে ডিজেলের ব্যারেলগুলি একদিকে সরে যায়। এতে একদিক ভারী হওয়ায় ট্রলারটি উল্টে যায়। সেই মুহূর্তে প্রাণ বাঁচাতে জলে ঝাঁপ দেন মত্স্যজীবীদের কিছুজন। ঘটনায় মৃত্যু হয় ট্রলার চালক প্রদীপ মান্নার। নিখোঁজ ছিলেন তিনজন। তার মধ্যে আজ উদ্ধার হল দুজনের মৃতদেহ, ফলে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ৩, এখনও নিখোঁজ এক মত্স্যজীবী। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে গোটা এলাকাজুড়ে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584