নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
ডেরা সাচ্চা সৌদা প্রধান গুরমিত রাম রহিম ‘হার্ডকোর’ বন্দির তালিকায় পড়েন না, কাজেই প্যারোলে অসুবিধা নেই এমনটাই জানালো পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাম রহিম-কে ৩ সপ্তাহের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয় আদালত, আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেন পাতিয়ালার এক বাসিন্দা, বৃহস্পতিবার সেই মামলাও খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি রাজ মোহন সিং।
উল্লেখ্য, নিজের আশ্রমের দুই মহিলা শিষ্য কে ধর্ষণের অভিযোগে রাম রহিম-কে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচকুল্লার বিশেষ সিবিআই আদালত ও ২০ বছরের কারাবাসের সাজা হয় তাঁর। গত বছর আরও ৪ জনের সঙ্গে রাম রহিমও আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন ডেরার ম্যানেজার রঞ্জিত সিং-কে খুন করার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকায়। এছাড়াও ২০০২ সালে এক সাংবাদিককে খুন করার অপরাধে রাম রহিম সহ আরও ৩ জন দোষী সাব্যস্ত হয় আদালতে।
আদালতের রায় অনুযায়ী,রাম রহিমের এই দুই পৃথক খুনের মামলার সাজা শুরু হবে ধরশন-এর মামলায় তাঁর যা সাজার মেয়াদ তা শেষ হলে। উল্লেখ্য, প্যারোলে ছাড়ার সময় রাম রহিম-কে জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয় কারণ খলিস্তানপন্থী সংগঠন গুলি নাকি হত্যার হুমকি দিয়ে রেখেছে।
আরও পড়ুনঃ ধর্ষণের সাজাপ্রাপ্ত ধর্মগুরু আসারামের আশ্রমের গাড়ি থেকে উদ্ধার নিখোঁজ নাবালিকার দেহ
পাতিয়ালার বাসিন্দা পরমজিত সিং সাহোলির দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়, রাম রহিম মারাত্মক রকম অপরাধ সংঘটিত করায় ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এই কারণেই তিনি প্যারোলে মুক্ত থাকতে পারেন না। মামলার শুনানিতে রাম রহিমের আইনজীবী আদালতে বলেন, রাম রহিম বাকি দুই খুনের ক্ষেত্রে ‘শুধুমাত্র’ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত। সেকারণে তাঁকে মারাত্মক বন্দি বলা যায় না।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584