নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
মহাকাশে দুটি উপগ্রহ পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেল। ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৯ মিনিট নাগাদ মহাকাশে দুটি উপগ্রহের মধ্যে সংঘর্ষ হতে হতেও হয়নি। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মহাকাশে এই সংঘর্ষ হলে তার সূদুরপ্রসারী প্রভাব পড়ত মহাকাশে।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও লিওল্যাবস জানিয়েছিল, দু’টি স্যাটেলাইট ‘আইরাস’ ও ‘জিজিএসই-৪’ শেষ পর্যন্ত মাত্র ২৫ মিটার(৮২ ফুট) দূরত্ব দিয়ে একে অতিক্রম করে কোনও রকমে রক্ষা পেয়েছে। অর্থাৎ সামান্য কয়েক চুলের ব্যবধানে একটি উপগ্রহ আরেকটিকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে অতিক্রম করেছে।
The NASA/NIVR IRAS satellite and the NRO/USN POPPY 5B satellite (aka GGSE 4) are predicted to make a close approach on Wednesday. POPPY 5B has 18-metre-long gravity gradient booms so a 15-to-30 metre predicted miss distance is alarming https://t.co/H1UckcoaAH
— Jonathan McDowell (@planet4589) January 27, 2020
স্পেস ডেব্রি ট্র্যাকিং সার্ভিস লিওল্যাব্স মহাকাশের বর্জ্য পদার্থের উপর নিয়মমাফিক নজরদারি চালায়। তারা জানিয়েছিল বৃহস্পতিবার ভোরে মহাকাশে এরকম একটি ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বেঙ্গালুরুকে দেশের মধ্যে সবচেয়ে ট্রাফিকবহুল শহরের আখ্যা দিল ‘টমটম’
বুধবার লিওল্যাবস টুইট করে জানায়, ওই সময় ‘আইরাস’ ও ‘জিজিএসই-৪’ উপগ্রহ দু’টি নূন্যতম দূরত্বে চলে আসবে। তখন তাদের দূরত্ব হবে বড় জোর ১৫ থেকে ৩০ মিটার। অর্থাৎ, ৪৯ থেকে ৯৮ ফুটের মধ্যে। এই সময় উপগ্রহ দু’টি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৯০০ কিলোমিটার বা ৫৬০ মাইল উপরে অবস্থান করবে।
1/ We are monitoring a close approach event involving IRAS (13777), the decommissioned space telescope launched in 1983, and GGSE-4 (2828), an experimental US payload launched in 1967.
(IRAS image credit: NASA) pic.twitter.com/13RtuaOAHb
— LeoLabs, Inc. (@LeoLabs_Space) January 27, 2020
নাসা জানিয়েছে যে কোনও মহাকাশযান উৎক্ষেপণের পর নজর রাখা হয়, তার ৬০ কিমির মধ্যে অন্য কোনও উপগ্রহ বা মহাকাশবর্জ্য অথবা কোনও মহাজাগতিক বস্তু যেন এসে না পড়ে। এমনটা হলে তা মহাকাশযানটির জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়।
ওয়াশিংটনে নাসার সদর দফতরে ‘পাথফাইন্ডার মিশন’-এর অন্যতম সদস্য জ্যোতির্বিজ্ঞানী অমিতাভ ঘোষ জানিয়েছেন, সংঘর্ষ হলে টুকরো টুকরো হয়ে যেত তুলনায় হাল্কা উপগ্রহটি।
ফলে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহগুলির কক্ষপথের একাংশে ‘স্পেস ডেব্রি’ বা মহাকাশের ধূলিকণার বিশাল ‘মেঘ’-এর জন্ম নিত, যা কোনও মহাকাশযানের পক্ষে বিপদের সংকেত হয়ে উঠত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584