নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা। যেকারণে আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিজেপি। যেমন দল বদলের মধ্য দিয়ে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হচ্ছে, তেমনটাই বিজেপির হেভিওয়েট নেতৃত্বের উপস্থিতিতে সভার পর সভা পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপিকে যেন অক্সিজেন যোগান দিয়ে চলেছে।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের জনসভা, রামনগরে বিজয়বর্গীয় সহ একাধিক নেতৃত্বের জনসভার পর, ফের বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের মেছেদায় বিজেপির কিষানমোর্চার সম্পাদক বামদেব গুছাইতের নেতৃত্বে যুগান্তকারী এক কৃষি আইন ২০২০ র সমর্থনে ঐতিহাসিক জনসভা হয়।
যেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিজয়বর্গীয়, কেন্দ্রীয় সম্পাদক অরবিন্দ মেনন ,ছিলেন সিদ্ধার্থ নস্কর,শঙ্কুদেব পান্ডা, রাজ্য সভানেত্রী লকেট চ্যাটার্জী ও একাধিক নেতৃত্ব।ঐতিহাসিক জনসভায় কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়। পাশাপাশি মেছেদার সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান সহ দু’হাজার সংখ্যালঘু মানুষ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন।
একের পর এক ধাক্কা শাসকদলে। প্রসঙ্গত বেশ কয়েকদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান কে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল, পাশাপাশি পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। অবশেষে বুধবার দুই হাজার সংখ্যালঘু মানুষ বিজেপিতে যোগদান করলেন। জানিয়ে ইতিমধ্যেই অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ একুশের প্রথমেই মনসুকার ঝুমি নদীর উপর সেতু তৈরির কাজ শুরু, জানালেন ঘাটালের বিধায়ক
মানুষ বুঝে গিয়েছে পিসি ভাইপোর সিন্ডিকেট ২০২১ রাজ্য থেকে বিদায় নেবে, বুধবার মেচেদার জনসভায় এমনই বক্তব্য রাখেন লকেট চ্যাটার্জী। পাশাপাশি তিনি বলেন তৃণমূলের ছোট ছোট দুটি ফুলের দুটি মালি পিসি আর ভাইপো। এখন দলে আর কেউ নেই, সব হার্মাদ গুলোকে দলে নিয়েছে,তাই আসল সৈনরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। আগামীদিনে শাসকদলে দুটি লিডার ছাড়া আর কেউ থাকবে না।
পাশাপাশি তৃণমূলের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খানের বিজেপিতে যোগ রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিরাজ খান বলেন, “আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দুর্নীতি হাতেনাতে ধরে দিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্থ মানুষদের সাথে আপোশ করে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, হিজড়ার মতো বেঁচে থাকা আমার দরকার নেই।”
আরও পড়ুনঃ গিলের ছাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র যেন ভূতের বাসা! বিক্ষোভ জনতার
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, মানুষ এই দলটাকে এনেছিল দু’মুঠো শান্তিতে খাওয়ার জন্য এবং কর্মস্থানের জন্য। আগামী ২০২১ বদল হবে এমনটাই বললেন সিরাজ খান। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন টেন পার্সেন্ট সংখ্যালঘু ভাইদের কর্মসংস্থান দেব সেখানে এক পারসেন্ট কি দিয়েছেন?
আরও পড়ুনঃ বীরভূমে দিলীপ ঘোষের সভায় আসার পথে বাধা বিজেপি কর্মীদের, গুলিবিদ্ধ ১
এমনটাই মন্তব্য করলেন সিরাজ খান, পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন প্রকল্প কে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এরাজ্যে উন্নয়ন করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর হাত শক্ত করতে হবে তাহলে আগামী দিনে বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য কোন ঘুঁষ দিতে হবে না।
অর্থাৎ এক কথায় বলা যেতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে যেভাবে তৃণমূলের ভাঙ্গন ধরাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব তাতে অনেকটাই অস্বস্তির মুখে জেলা তৃণমূল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584