কার্ত্তিক গুহ,ঝাড়গ্রামঃ
ঝাড়গ্রামে হায়নার আক্রমণে গুরুতর ভাবে জখম হলেন দুই আদিবাসী যুবক । বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।আক্রান্ত দুই যুবকের নাম সনাতন হেমব্রম (১৯) ও ললিত হেমব্রম (১৮) । জামবনি গ্রামপঞ্চায়েতের বাঁকশোল গ্রামের বাসিন্দা তারা।সনাতন ও ললিত জানান , গতকাল সন্ধ্যায় তারা আগুন পুয়াছিলেন বাড়ির সামনে।ঠিক সেই সময় হঠাৎ একটা পূর্ণবয়স্ক হয়না আক্রমণ করে তাদের উপর।সনাতনের বাঁ হাত ও ডান পা কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেয় । সনাতনকে ছাড়াতে গেলে ললিতের উপর চড়াও হয় ও ললিতের মাথা ও মুখে কামড়ে দেয়।সনাতন ও ললিতের চিৎকার শুনে বাড়ির লোক ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে হায়নার হাত থেকে রক্ষা করে তাদের। সকলে চলে আশায় হায়নাটি তাদের ছেড়ে পালায়।সেখান থেকে উদ্ধার করে তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে বনপ্রাণীর আক্রমণে বহুবার আক্রান্ত হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলার বহু মানুষ।কখনও হাতির হানায় কারও খোয়া গিয়েছে প্রাণ কারও বা পা।কখনও বনশুয়ারের আক্রমন কখনও বা হায়না।কয়েকদিন আগে নয়াগ্রামে হায়নার আক্রমণে গুরুতর ভাবে জখম হয়ে ছিলো জনা ১৬ গ্রামবাসী।পরে উত্তপ্ত গ্রামবাসী লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে হায়নাটিকে।বাঁকশোল গ্রামের বাসিন্দা জয়রাম হেমব্রম বলেন , আমাদের গ্রামটি চারিদিক থেকে জঙ্গলে ঘেরা তাই গ্রামে প্রায়ই হাতি আসে কিন্তু এই প্রথম কেও গ্রামে হায়নার আক্রমণে আক্রান্ত হলো।খুব ভয় করছে গ্রামের বাচ্চা ছেলে মেয়েরা মাঝে মাঝে খেলতে খেলতে জঙ্গলে চলে যায়। এছাড়াও জঙ্গলে পাতা আনতে গেলে খুব সাবধানে যেতে হবে। ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হৈলাচি বলেন,পুরো বিষয়টি নজর দিয়ে দেখছি ও গ্রামের মানুষদের সতর্ক থাকার আবেদন করছি।
আরও পড়ুন: ধর্মঘট সমর্থকদের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584