নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
আজ থেকে প্রায় দু মাস আগে ঝাড়গ্রামে পথসভাতে যোগদান করতে গিয়ে, মারা যান চারজন বাস দুর্ঘটনায়। সঙ্গে সঙ্গে দুই জন মারা যান,মাননীয় মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জী তাদের বাড়ি গিয়ে সমবেদনা জানিয়ে আসেন ও চাকরির ব্যাবস্থা করেন। এরপর বাকি দুজন মারা যান,তৎকালীন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহের ব্যাবস্থাপনায় পরিবারগুলি ত্রাণ ও পরবর্তীতে সরকারি সুবিধা পান।
এরপর থেকেই গ্রামে চলছে মৃত্যুমিছিল, গ্রামের পুরোহিত সহ আরও দশজন মারা গেছেন।কেউ হঠাৎ, কেউ রোগভোগে বা কেউ আত্মহত্যা করে। সমাজ দেবতার পূজোর সময় হওয়া কিছু দোষ না প্রাকৃতিক নিয়ম এর জন্য দায়ী,বুঝতে পারছে না গ্রামবাসীরা। সকলেই আতঙ্কিত এবং রাতে কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না। গ্রামীন যুবক রবীন মূর্মু জানান,“সালুই পূজার সময়,দেবতা জানিয়েছিলেন গ্রামের আগত বিপদের কথা। তখনকার সমাজপতি ও মারা গেলেন হঠাৎ, আমরা আবার সালুই পূজা করার চিন্তাভাবনা করছি।”এখানে উল্লেখ থাকে যে এই গ্রামে “ডাইনি” সন্দেহে আগে ৩-৪ বছর ধরে একটি পরিবারকে “একঘরে” করে রাখা হয় এবং পরিবারটিকে পুলিশি প্রহরাতে থাকতে হয়েছিল ও গ্রামে দীর্ঘদিন পুলিশ পিকেট বসানো ছিল এবং জেলা প্রশাসন ও বারবার চেষ্টা করে তখন গ্রামের অন্ধ কুসংস্কার দূর করতে অসমর্থ হয়।
আরও পড়ুনঃ পাচার করা কাঠ উদ্ধার
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584