কাফিল খানকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যোগী সরকার

0
39

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

জাতীয় নিরাপত্তা আইন বা এনএসএ–তে ধৃত চিকিৎসক কাফিল খানকে গত ১ সেপ্টেম্বর মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। ডাঃ কাফিল খানের গ্রেপ্তারি অবৈধ বলেও রায় দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

notice | newsfront.co
ফাইল চিত্র

হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল উত্তরপ্রদেশ সরকার। হাইকোর্ট জানিয়েছিল, চিকিৎসকের কোনও কথাই উস্কানিমূলক নয় এবং অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকারকে।

আরও পড়ুনঃ টিআরপি কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতার রিপাবলিক টিভির সিইও

সুপ্রিম কোর্টে উত্তর প্রদেশ সরকার যে পিটিশন দায়ের করেছে তাতে রাজ্য সরকারের অভিযোগ, কাফিল খানের বিরোধিতা করার ইতিহাস আছে। যার ফলে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, চাকরি থেকে সাসপেন্ড হতে হয়েছে। পুলিশে মামলা দায়ের হয়েছে এবং জাতীয় সুরক্ষা আইনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত বছরের শেষের দিকে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ–র বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন ডাঃ কাফিল খান। এই অভিযোগে তাঁকে গত ২৯ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। প্রথমে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি ওই মামলায় জামিন পান, তারপর চিকিৎসকের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইনে অভিযোগ আনা হয়। এরপর ১ সেপ্টেম্বর যাবতীয় অভিযোগ থেকে তাঁকে মুক্তি দেয় হাইকোর্ট। মুক্তি পাওয়ার পর কাফিল খান বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে তিনি চাকরি ফেরত চাইবেন।

আরও পড়ুনঃ জাতীয় সঙ্গীত বদলে ফেলার পরামর্শ জানিয়ে মোদীকে চিঠি বিজেপি সংসদের

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে গোরখপুরের বিআরডি হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাবে ঘটা বহু শিশু মৃত্যুর দুর্ঘটনায় ডাঃ কাফিল খানকে ওই হাসপাতাল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। পরে অন্তর্বর্তী তদন্তে প্রকাশ হয় কাফিল খান বেকসুর ছিলেন এবং ঐ হাসপাতালে অক্সিজেনের বিল না মেটানোতে প্রকাশ হয় সরকারের গাফিলতি এবং দুর্নীতির ঘটনা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here