শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
আবারও চিনা আগ্রাসন! ভারতের অরুণাচল প্রদেশসংলগ্ন বিতর্কিত অঞ্চলে চিন জনবসতি গড়ে তুলেছে বলে পেন্টাগন দাবি করেছে। এ বিষয় নিয়ে জোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাইডেন সরকার। পেন্টাগনের রিপোর্ট অনুযায়ী চিন শাসিত তিব্বত এবং অরুণাচলের পূ্বাঞ্চলের বিতর্কিত জমিতে প্রায় ১০০ টি বাড়ি হয়েছে। আর এগুলো গড়ে উঠেছে ২০২০ সালের কোন এক সময়ে। তবে বাড়ি গুলিতে লোকজন বাস করছে কি না! এই ব্যাপারটি স্পষ্ট নয়।
তবে একজন ভারতীয় সেনা বাহিনীর কর্মকর্তার দাবি, পেন্টাগনের উল্লেখ করা জনবসতি আদতে চিনা সেনাবাহিনীর স্থায়ী সেনা শিবির। আর তারা এগুলো নির্মাণ করেছে অসামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য। গত বছর অরুণাচল প্রদেশের আপার সুবনসিরি জেলায় অতিরিক্ত উপকমিশনার হিসেবে ডি জে বোরাহকে দায়িত্ব দেয় রাজ্য সরকার। এক পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি জানান, বিতর্কিত এলাকায় বেসামরিক লোকজন অবস্থান করছে বলে তাঁদের মনে হয়নি।
এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা বিতর্কিত এলাকায় একাধিক বড় স্থাপনা দেখতে পেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল সেগুলো সামরিক কাজে ব্যবহার করার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছিল, ১৯৬২ সালে যখন চিনা সেনারা এই অঞ্চল দখলে নেয়, তখন সেখানে তাদের মাত্র কয়েকটি চৌকি ছিল। চিনা সেনাবাহিনী যেখানে স্থাপনা নির্মাণ করেছে, সেখানে আগে ভারতের সেনাচৌকি ছিল। তবে ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের পর সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়। সে সময় ওই চৌকিটিকে ‘মাজা ক্যাম্প’ বলা হতো। অঞ্চলটিকে বিতর্কিত ঘোষণার পর ক্যাম্পটি ভারতের ভূখণ্ডের চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে সরিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুনঃ আফগানদের হারে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ কোহলিদের
বিতর্কিত অঞ্চলের যেসব এলাকা এখন চিনা সেনাবাহিনীর দখলে, সেগুলো মূলত তাগিন সম্প্রদায়ের মালিকানায় ছিল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলের সম্পূর্ণ জমির মালিকানায় সম্প্রদায়টির একচেটিয়া অধিকার ছিল। তবে বেশ কয়েকদিন আগে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অত্যন্ত কাছাকাছি চলে আসে লাল ফৌজের একটি বাহিনী। তবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা তাদের আটকে দেয়। মুখোমুখি চলে আসে দুই দেশের ফৌজ। ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুরু হয় বাকবিতণ্ডা, যা ধাক্কাধাক্কি পর্যন্ত গড়ায় বলে সূত্রের খবর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584