শুধুই আল কায়দার বিরুদ্ধে লড়তে গিয়েছিল আমেরিকা, সেনা প্রত্যাহারের সঠিক সময়ঃ বাইডেন

0
83

ওয়েব ডেস্ক, নিউজ ফ্রন্টঃ

২০ বছর পরে ফের তালিবানদের দখলে আফগানিস্তান। আশরফ ঘানি সরকারের এই দ্রুত পতন ও জঙ্গিদের জয়ের জন্য বেশ বড় অংশের মার্কিনীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। তাঁদের বক্তব্য সাত তাড়াতাড়ি সেনা না সরিয়ে নিলে তালিবানদের দখলে যেত না আফগানিস্তান। তবে সেসব সমালোচনায় গুরুত্ব দিতে নারাজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট, তিনি সাফ জানিয়েছেন আফগানিস্তানে ক্ষমতাদখল নয়, আল কায়দার বিরুদ্ধে লড়তে গিয়েছিল আমেরিকা।

Joe Biden
সৌজন্যেঃ ইন্ডিয়া টুডে

সোমবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বাইডেন বলেন, “আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প তালিবানের সঙ্গে চুক্তি করেছেন। তখন আফগানিস্তানে ১৫ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন ছিল। দীর্ঘ ২০ বছরের লড়াই থেকে আমি শিখেছি আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর এটাই উপযুক্ত সময়। আল কায়দার বিরুদ্ধে লড়াই করতে আফগানিস্তানে গিয়েছিল আমেরিকা, রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে নয়। কেন্দ্রীয় গণতন্ত্র গড়া আমাদের অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল না। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি মনে করি অতীতের কথা ভুলে ২০২১ সালে উপস্থিত হওয়া হুমকির দিকে নজর দিতে হবে আমাদের।”তবে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পক্ষে জোরাল সওয়াল করলেও আমেরিকায় অ বাইডেনের এই সিদ্ধান্তে অখুশি অনেকেই।

বিগত ২০ বছরে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াই ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে প্রাণ দিয়েছেন অন্তত আড়াই হাজার মার্কিন সৈনিক। অস্ত্রের আঘাতে পঙ্গু হয়ে দেশে ফিরেছেন আরও কয়েক হাজার সেনা। বহু মার্কিনীদের মতে সেই ত্যাগ স্বীকার কার্যত মূল্যহীন হয়ে গেল বাইডেনের এই সিদ্ধান্তে।

আরও পড়ুনঃ পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডা, গ্রেপ্তার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর

উল্লেখ্য, সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের সপক্ষে যুক্তি সাজালেও, বাইডেন স্বীকার করে নিয়েছেন পরিস্থিতি যে এত দ্রুত পাল্টে যাবে তা তাঁরা ভাবেননি। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি তালিবানের বিরুদ্ধে লড়বেন বলেই আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি আফগান নাগরিকদের প্রতি দায় এড়িয়ে নিজের অনুচরদের নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ ভারতীয় দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রদূত এবং কর্মীদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিল কেন্দ্র

আফগান জনসাধারণের প্রতি সহমর্মিতা ও সাহায্যের আশ্বাস দিলেও নিজের যুক্তিতে অনড় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বললেন, “সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করতেই হত।” তাঁর কথায়, “আমেরিকা অতীতে অনেক ভুল করেছে। সেই ভুল না শুধরে ধারাবাহিকভাবে ভুল করে যাওয়া অযৌক্তিক।“ এই পরিস্থিতিতে সামগ্রিকভাবে শেষ দুই দশকের গণতন্ত্রের আস্বাদ পাওয়া আফগানরা আবার সেই তিমিরে। আফগানিস্তান জুড়ে আবার সেই দাপাদাপি কালশনিকভ হাতে তালিবানদের।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here