মনিরুল হক,কোচবিহারঃ

১০ টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের ডাকা বনধের দ্বিতীয় দিনে বাস ও অটো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল কোচবিহারে।বুধবার কোচবিহার শহরে সিপিআই(এম) জেলা কার্যালয়ের সামনে টোটো ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।অন্যদিকে কোচবিহারের মরাপোড়া চৌপথি এলাকায় একটি সরকারি বাসে ভাঙচুর চালায় বনধ সমর্থনকারীরা।

ওই ঘটনায় বাস চালক সহ দু’জন আহত হয়েছেন।দুটি ঘটনাতেই অভিযোগ উঠেছে ধর্মঘট সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে।কোচবিহার জেলার বেশ কিছু ব্লকে বনধ সমর্থনকারীদের রাস্তায় নামতে দেখা যায়।ফলে কিছুটা হলেও এদিন বনধ সফল হয়েছে বলে জেলার রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
জানা গেছে, আজ সকালে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার একটি বাস দিনহাটার যাবার পথে মরাপোড়া চৌপথি সংলগ্ন এলাকায় বনধ সমর্থকরা ইট পাথর ছুঁড়তে থাকে বলে অভিযোগ।পাথর ছুঁড়ে মারায় বাসের সামনের কাঁচ ভেঙে যায়।ওই ইট গিয়ে লাগে চালকের গায়েও,তিনি জখম হন।ওই ঘটনায় আহত হন আরও একজন।দু’জনকেই নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ,ধর্মঘট সমর্থনকারীরা বাস ভাঙচুরের সঙ্গে যুক্ত।কোচবিহার শহরে সিপিআই(এম)-র জেলা কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় টোটো ভাঙচুরের পাশাপাশি পোস্ট অফিসের কাছে অটো ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থালে ছুটে আসে পুলিশ।টোটো ভাঙচুর করাকে কেন্দ্র করে পুলিশ কর্মীদের সাথে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন বনধ সমর্থকরা।ধর্মঘট প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলার সিটুর প্রাক্তন সম্পাদক তারিনী রায় বলেন, দেশ জুড়ে চলা দুদিনের বনধে এদিন কোচবিহারে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।যদিও গতকাল তৃণমূলের একটি সভা থাকায় কিছু দোকান পাঠ খোলা ছিল। আজ একে বারে পুরোপুরি বনধ হয়েছে।
বনধ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “মানুষ বনধ চায় না। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকতে চায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পরিষেবা গুলি দিচ্ছেন তার সুবিধা নিতে চায় মানুষ।বনধের নামে উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে। বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দিয়ে মানুষের দৃষ্টিকোণ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে।” তিনি আরও বলেন, “ইতিমধ্যে অনেক গুলি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ সুপারকে বলেছি, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে।”
কোচবিহার জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে ধর্মঘট সমর্থনকারীদের বচসা হয়। তবে কোচবিহার জেলায় দ্বিতীয় দিনে ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।দুদিনে মোট জেলায় ৬৫ জন বনধ সমর্থনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ বনধ সমর্থকদের সরকারি বাস ভাঙচুর
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584