নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
বিশ্বকর্মা পুজোর দিনেই একই জায়গায় একাধিক মৃত গরুর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়।ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় থানার পোক্তাপুলে।ঘটনায় জানা যায় বুধবার সকালে বেলদা থেকে খড়গপুরগামী ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের নারায়ণগড়ে ঢোকার মুখে পোক্তাপুলের নিচে ৭ থেকে ৮ টি মৃত গরুর দেহ দেখতে পায় এলাকাবাসীরা।
এরপরে খোঁজ শুরু হয় নারায়ণগড় ও তৎসংলগ্ন গ্রামে।কিন্তু কোথাও গরু মৃত্যুর ঘটনা পাওয়া যায়নি।সূত্রের খবর -পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার খাকুড়দার ধনেশ্বরপুরে প্রত্যহ রবিবার গরুর হাট বসে।দূর-দূরান্তের বহু গরু ব্যাপারীরা আসেন গরু কেনাবেচা করতে।
আরও পড়ুনঃ বাজ পড়ে জোড়া গরুর মৃত্যু
এছাড়াও দাঁতন থানার সােনাকনিয়ার উড়িষ্যা বর্ডার থেকে বেশ কিছু গরুর গাড়ি এই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে নারায়ণগড়ের পোক্তাপুল দিয়ে খড়গপুর ও মেদিনীপুরের দিকে যাতায়াত করে।গ্রামবাসীদের অভিযোগ -“যেভাবে গাড়ি গুলিতে গরু গুলোকে নিয়ে যাওয়া হয়,তাতে গরু গুলি মরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।আর আজকে এখানে মৃত গরু গুলি ওই গরুর গাড়ির লোকেরাই ফেলে দিয়ে গেছে।
তা নাহলে গ্রামে একটাও গরু মরেনি , অথচ এতগুলো মৃত গরুর দেহ এখানে এলো কোথা থেকে ?” এলাকাবাসীদের আরো অভিযোগ ওই পোক্তাপুল সংলগ্ন বেশ কিছুটা জায়গা জুড়ে একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির অনেক মাল পড়ে রয়েছে ।
পোক্তাপুল থেকে দশগ্রাম যাবার রাস্তার কাজ ওই কোম্পানি করছে ।ফলে ওই মাল গুলোকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাতে সিকিউরিটির ব্যবস্থা রয়েছে ।তারপরেও কিভাবে এখানে গাড়ি ঢুকিয়ে এই মানুষের ব্যবহার্য ওই জলে গরুর দেহ গুলোকে ফেলা হলো।
এ ব্যাপারে এ কনস্ট্রাকশন কম্পানি হাত রয়েছে বলে দাবি তাদের ।যদিও এই কনস্ট্রাকশনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা রক্ষক তা মানতে চাননি।এলাকাবাসীরা বেলদা এবং নারায়ণগড় দুই থানাতে খবর দেয়।
অবশেষে দুপুর নাগাদ নারায়ণগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় এবং কিছু সাফাই কর্মীদের কে দিয়ে দড়ি দিয়ে টেনে গরুর দেহগুলি তোলা হয়।পরে সেগুলি অন্যত্র লোকালয় থেকে দূরে ফাঁকা জায়গায় ফেলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এইভাবে দিনের পর দিন গরু ব্যাপারীরা গরু নিয়ে গেলেও নিশ্চুপ কেন পুলিশ প্রশাসন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584