পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুরঃ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে জাতীয় পুরস্কার নিয়ে কালিয়াগঞ্জে বাড়ি ফিরলেন কৃষক বিকাশ চন্দ্র বর্মন।
ভুট্টা চাষের অসামান্য সাফল্যের জন্য দেশের সেরা কৃষক হিসেবে মনোনীত হয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে পুরস্কার নিয়ে এলেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর গণেশ বাটি গ্রামের বিকাশ চন্দ্র বর্মন। গত বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্গালুরুতে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি অনুষ্ঠানে বিকাশ বাবুকে প্রগতিশীল কৃষক সম্মানে ভূষিত করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী জীত এই অনুষ্ঠানে কৃষিতে সাফল্যের নজির গড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাছাই করা কৃষকদের সম্মানিত করা হয়। কৃষক সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়া দুরাপ্পা সহ আরো অনেকে।
২০১৭-২০১৮ মরশুমে ভুট্টার ফলনের জন্য সারা দেশের মধ্যে যুগ্মভাবে সেরা সম্মান লাভ করেন বাংলার দুই কৃষক। কালিয়াগঞ্জের গণেশ বাটি গ্রামের বিকাশ চন্দ্র বর্মন এবং মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের হালিমা বিবি। ভুট্টা চাষে এই প্রথম বাংলা দুই কৃষক যুগ্মভাবে এই জাতীয় সম্মান পেলেন।
উল্লেখ্য কালিয়াগঞ্জের গণেশ বাটি গ্রামের বিকাশ চন্দ্র বর্মন ধান ও গম চাষের মত নিজের জমিতে ভুট্টা চাষ করেন। জৈব সার নির্ভর ভুট্টা চাষে সাফল্যতার জন্য বিকাশ বাবুর নাম জেলা কৃষি দফতর তরফে পাঠানো হয়। এরপর মনোনীত হন বিকাশ চন্দ্র বর্মন জাতীয় পুরস্কারের জন্য। আজ তিনি বেঙ্গালুরু থেকে বাড়ি ফিরলেন পুরস্কার নিয়ে। এদিকে কালিয়াগঞ্জের বিকাশ চন্দ্র বর্মনের জাতীয় সম্মানের প্রাপ্তির খবরে খুশির হাওয়া তার পাড়া-প্রতিবেশী থেকে কৃষি দফতরে। এক সাক্ষাৎকারে আজ গণেশ বাবু তার নিজের বাড়িতে বসে তিনি জানান ভুট্টা চাষের ক্ষেত্রে প্রগতিশীল একজন চাষী হয়ে ভুট্টা চাষ করে তিনি একটা নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছেন ভুট্টা চাষের ক্ষেত্রে। তিনি বলেন কৃষি কাজই তার পেশা। কৃষিকাজে আগামী দিনে যাতে আরো ভালো কিছু করতে পারেন সেটাই তার আগামীতে লক্ষ্য রয়েছে। তিনি বলেন উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করে তিনি দেখিয়ে দিতে পেরেছেন কিভাবে ভুট্টার ফলন বেশি করা যায়। শুধু তাই নয় ভুট্টা চাষে পরিচর্যা ও একটা অন্যতম বিষয় সেটাও তিনি সঠিকভাবে করতে পেরেছেন। তিনি বলেন তার মতো একজন ক্ষুদ্র কৃষক ভারতের প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিতে পারবেন এটা তিনি কখনোই ভাবতে পারেনি। তাই পুরস্কার পেয়ে তার খুবই আনন্দ লাগছে এবং আগামী দিনে আরও এই চাষে তিনি বেশি বেশি করে মনোনিবেশ করবেন। তিনি বলেন তাকে একটি ট্রফি দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি দুই লক্ষ টাকা পুরস্কার সম্মান হিসেবে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন এই যে টাকা পুরষ্কার হিসাবে তাকে দেওয়া হয়েছে সেই টাকা তিনি কৃষি কাজে ব্যয় করবেন আরো উন্নত মানের কৃষি কাজ করার ক্ষেত্রে।
এদিকে বিকাশবাবু যখন বাড়িতে ফিরে এলেন তখন দেখা গেল তাকে শুভেচ্ছা জানাতে পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে এলেন তার বাড়িতে।এদিকে বিকাশ বর্মনের স্ত্রী মিলি বর্মন জানান, আজকে খুব আনন্দের দিন তার স্বামী এত বড় একটা সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। আগামী দিনে যাতে আরো বেশি বেশি করে উন্নতমানের কৃষি কাজ করতে পারেন সেজন্য তারাও তাকে অনুপ্রাণিত করবেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584