নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
ভারী বৃষ্টির ফলে শিলাবতী ও ঝুমি নদীর জল বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে কংসাবতী নদীর জলও। এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন নদীতে জল বাড়তে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে আগামী ৪৮ ঘন্টা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। তাই ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা করছেন। ঘাটাল পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে ইতিমধ্যে শিলাবতির জল ঢুকেছে।
সেই এলাকাগুলিতে মানুষের জন্য ঘাটাল পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে নৌকো নামানো হয়েছে। ঘাটালের পুরপ্রশাসক বিভাস ঘোষ বলেন ঘাটাল পুর এলাকার বন্যা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা কোনভাবেই দুর্ভোগে না পড়েন সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। ঘাটালের মনসুকা সহ বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যে জল ঢুকতে শুরু করেছে। মানুষজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জলে ডুবে যাওয়া রাস্তা দিয়ে যাতায়াত শুরু করেছে। ঘাটালের মহকুমা শাসক অসীম পাল বলেন, বন্যা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ লাফিয়ে বাড়ছে আলু পেঁয়াজের দাম! মাথায় হাত মধ্যবিত্তের
এখনও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি যদি বৃষ্টি হয় এবং নদীতে জল বাড়ে তাহলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে। তাই মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম যা কিছু প্রয়োজনীয়, তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি এলাকায় নজর রাখা হয়েছে।
দাসপুর এক ব্লকের নিজ নাড়াজোল সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওই এলাকার মানুষ নৌকোতে যাতায়াত করছে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানেও নজরদারি শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কিছু এলাকায় নৌকো নামানো হয়েছে। যাতে মানুষজন যাতায়াত করতে পারে সেইসঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে না যায় তার জন্য নৌকোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ত্রুটিপূর্ণ সুরক্ষা ব্যবস্থা! খোয়া গেল ‘রেলযাত্রী’ অ্যাপস ব্যবহারকারীর গোপন তথ্য
তবে মঙ্গলবার ঘাটাল পুরসভার একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্যার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জল উঠতে শুরু করেছে ।তবে ধীরে ধীরে শিলাবতী নদীর জল বাড়তে শুরু করায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। গত দু’বছর ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দাদের বন্যার কবলে পড়তে হয়নি। কিন্তু এবছর একদিকে করোনা, অন্যদিকে বন্যা নিয়ে মানুষকে যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। তাই যদি বৃষ্টি হয় তাহলে বন্যা পরিস্থিতি জোরালো হওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
তাদের আশঙ্কা এবারও তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে রাস্তার উপরে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হবে। অপরদিকে মেদিনীপুর সদর মহকুমার কেশপুর ব্লকের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই এলাকায় নৌকো নামানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ দিল্লিতে পে-কাটের জেরে পরিচারকের হাতে খুন ডেয়ারী ব্যবসায়ী
সেই এলাকার দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে কেশপুর ব্লক প্রশাসন ।জেলাশাসক রেশমী কোমল বলেন জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এখনও সেভাবে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, যদি বৃষ্টি হয় এবং বিভিন্ন এলাকা বন্যার কবলে পড়ে তাহলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584