বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকরা

0
132

পিয়ালী দাস, বীরভূম:

অবশেষে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হলেন শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকগণ। প্রায় ষাটজন আশ্রমিক সই করে গণ ডেপুটেশন পত্র মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেয় ইতিমধ্যেই।

visva bharati | newsfront.co
ফাইল চিত্র

ক্লাব মোড় থেকে শ্রীনিকেতনে যাওয়ার উপাসনা মন্দিরের সামনের রাস্তাটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বন্ধ। বাইশে শ্রাবণ আম্রকুঞ্জে অনুষ্ঠানের সময়ে উপাসনা মন্দিরের সামনে থেকে রবীন্দ্রভবন পর্যন্ত যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বহু বৃদ্ধ মানুষকে দেখা যায় প্রায় ২০০মিটার রাস্তা হেঁটে সাইকেল বা দু চাকার গাড়িটি হাঁটিয়ে নিয়ে পার করতে। অথবা প্রায় দু কিলোমিটার ঘুরে লালবাঁধের ধার ধরেই চলছে বর্তমানে যাতায়াত। এই রাস্তাটি ২০১০ সালে পরিচর্জার জন্য রাজ্য সরকার শান্তিনিকেতনের হাতে তুলে দিয়েছিল। কিন্তু আশ্রমিকদের দাবি পুনরায় বিশ্বভারতীর কাছ থেকে রাস্তাটি রাজ্য সরকার ফেরত নিয়ে নিক। আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জনগণের টাকায় রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ এক পক্ষকাল ধরে রাজ্য জুড়ে চলবে কৃমি নিবারণ কর্মসূচি

deputation | newsfront.co
ডেপুটেশন। কোলাজ চিত্র

তাই জেলা প্রশাসন রাস্তাটি বিশ্বভারতীর কাছ থেকে ফেরত নিয়ে জনগণের চলাচলের জন্য রাস্তাটি খুলে দিক। তাদের দাবি উপাচার্য বিশ্বভারতীকে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তির মতো ব্যবহার করছেন। বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের দাবি, “উপাচার্য বিশ্বভারতীর সমস্ত মানুষের নৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। প্রতিবাদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন। চাকরি হারানোর ভয়ে অধ্যাপকদের সমস্ত রকম দাবি নিয়ে শিক্ষক সংগঠন সরব হতে পারছেনা। হোস্টেল ফি বাড়িয়ে দেওয়া সত্ত্বেও ছাত্রছাত্রীরা মুখ বুজে উপাচার্যের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ মহামারি কেড়েছে চাকরি, জয়পুরের শিক্ষক আজ চিত্র বিক্রেতা

সন্ত্রাসের পরিবেশ কায়েম করে রেখেছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এদিকে মাঝেমধ্যেই দেখছি বিভিন্ন রকম বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে নিজের ভুল আড়াল করতে সাফাই দিচ্ছেন তিনি, বলছেন বিশ্বভারতীর জন্য যা করতে এসেছেন তা বিশ্বভারতীর ভালোর জন্য।” আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, “যা হচ্ছে বিশ্বভারতী জুড়ে তা কখনোই কাম্য নয়। শান্তিনিকেতন থেকে শান্তি একেবারে উধাও হয়ে গেছে।

প্রত্যেকদিন কোন না কোন সমস্যায় বিশ্বভারতী জড়িয়ে পড়ছে। এতে ছাত্রছাত্রীদের পঠন-পাঠন ব্যাহত হচ্ছে। যার ফলে বিশ্বভারতীর মান বিশ্ব বিদ্যালয় স্তরে ক্রমশ নিচের দিকে চলে যাচ্ছে।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here