জৈদুল সেখ, মুর্শিদাবাদঃ
দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তার বেহাল অবস্থা, বর্ষা এলেই প্রচন্ড সমস্যায় পড়তে হয় এলাকাবাসীদের। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এমনই সমস্যার মধ্যে জীবন যাপন করছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা ব্লকের অন্তর্গত খরজুনা অঞ্চলের বদুয়া গ্রামের দুই পাড়ার মানুষ। অগত্যা বদুয়া গ্রামের ৪৫টি পরিবার নিজেদের মধ্যে প্রায় দুই লক্ষ টাকা চাঁদা তুলে মঙ্গলবার থেকে মাটি দিয়ে রাস্তা মেরামত করতে শুরু করল।
উল্লেখ্য, বদুয়া গ্রামের দুটি রাস্তা, তালবোনা পাড়া থেকে ঈদগাহ পাড়া আর একটা দীঘিপাড়া থেকে পদ্মপুকুর পর্যন্ত গ্রামের ভিতরে এই রাস্তা দুটি প্রায় এক কিলোমিটার কাছাকাছি। এই রাস্তা দুটির পাশে জল নিকাশী কোনো সুবিধা না থাকায় বর্ষার সমস্ত জল প্রায় সারা বছরই থেকে যায়। যার ফলে স্কুল, ফসল তোলা এবং যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয় গ্রামবাসীদের।
তালবোনা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আলীম বলেন, “দীর্ঘ ২০ বছর ধরে রাস্তা খারাপ। জল কাদা জমে থাকে ছেলেমেয়েদের স্কুল যেতে অসুবিধা হয়, তাছাড়া গ্রামের ফসল তোলার ক্ষেত্রে খুব অসুবিধা হয়। বার বার প্রধান বলেও কাজ হয়নি। শুধু বলে হয়ে যাবে, হয়ে যাবে কিন্তু হয় না। তাই তালবোনা এবং ঈদগাহ পাড়া মিলে প্রায় দু’লক্ষ টাকা তুলে এই রাস্তা মেরামত করছি। ”
এবিষয়ে খরজুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিপন সেখ বলেন, “রাস্তা খারাপের বিষয়ে মেম্বার বলতে পারবে, আমি বলতে পারব না। কারণ এই সমস্ত সমস্যাগুলি মেম্বারের চোখ দিয়ে দেখি, সে নিশ্চয়ই আমাকে জানায়নি।”
আরও পড়ুনঃ ডোমকলে ফের শুরু পাড়ায় সমাধান
রাস্তার সমস্যা দীর্ঘদিনের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে বারবার বলা সত্ত্বেও রাস্তা হয়নি তাই গ্রামবাসীরা নিজেরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা তুলে দু’লক্ষ টাকার মাটি ফেলে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করে। গ্রামবাসীরা আরও জানান, সবচেয়ে বড়ো সমস্যা বাচ্চারদের স্কুল যেতে অসুবিধা হচ্ছে, মহিলারা পড়ে যাচ্ছে রাস্তার মধ্যে খুবই সমস্যা।
আরও পড়ুনঃ রেজিনগরে বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ
তারপর এই সংসদের মেম্বার গোলাপ সেখের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমস্যা ছিল কিছুটা সমাধান হয়েছে যদিও গ্রামবাসীদের উদ্যোগে রাস্তা মেরামতের কথা স্বীকার করলেও দুই লক্ষ টাকার কাজের কথা অস্বীকার করেছেন। তাছাড়া ঈদগাহ পাড়ার ক্ষেত্রে তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই সাড়ে চার লক্ষ টাকার স্কীম ড্রেনের জন্য এবং ঢালাইয়ের জন্য আলাদা স্কিম দেওয়া আছে খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।” যদিও গ্রামবাসী আব্দল আলিম সেখ, আজমাইল সেখ, কালু শেখ, আহমেদ শেখ, বাবুল শেখ, সাহাদত সেখ, নব শেখের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584