সুদীপ পাল, পূর্ব বর্ধমানঃ
পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষে জেলার প্রথম করোনা ভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। দূর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইতিমধ্যেই ভর্তি করানো হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। আপাতত কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে চিহ্নিত করে পৃথক করা শুরু করেছে প্রশাসন।

প্রথমে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র সেখানে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরে গাংপুরের কাছে কোভিড-১৯ হাসপাতাল ও বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে। খবর পাওয়া মাত্রই ওই গ্রামে বহিরাগতদের প্রবেশ ও বাসিন্দাদের বের হওয়া রুখতে, তড়িঘড়ি গ্রামটিকে সিল করে দেয় পুলিশ। এর পাশাপাশি অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী সরবরাহের বিষয়টির দিকেও নজর রাখছে প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃ সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দেদার চলছে গুটখা, সিগারেট বিক্রি
যদিও আক্রান্ত ওই ব্যক্তি কলকাতার মেটিয়াবুরুজ থেকে গত ৯ই এপ্রিল মোটর বাইকে করে গ্রামে ফিরেছিলেন। এমনকি সিভিক ভলেন্টিয়ার ও আশা কর্মীরা তাঁকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন। কিন্তু সেই পরামর্শ মানেননি তিনি। বরং একাধিক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার পাশাপাশি তাঁর এক ভাই তৃণমূলের স্থানীয় নেতা হওয়ায় প্রায়ই তিনি গ্রামের দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকতেন।
শুধু তাই নয় একাধিক মুদির দোকান সহ বেশ কিছু জায়গায় আড্ডা দিতেও দেখা গেছে তাঁকে বলে গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ। এর পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে গ্রামের প্রতিটি বাড়ি ঘুরে রিপোর্ট তুলে আনার ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে।
তবে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই ব্যক্তি যাতায়াতের পথে কয়েক মিনিটের জন্য গল্প করেছে এমন লোকজনকেও শনাক্ত করার কাজ চলছে। আক্রান্ত ব্যক্তির এই কর্মকাণ্ডের জেরে যথেষ্ট আতংকিত গ্রামবাসীরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584