নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
বর্তমান করোনার প্রভাবে মাস্কের খুব প্রয়োজন। কিন্তু বাজারে সে মাস্ক আর পাওয়া যাচ্ছেনা। তাই সরকারিভাবে মাস্ক তৈরীর অর্ডার পেলেন গ্রামের গৃহবধূরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন দুই নম্বর ব্লকের শাউরি দিশারী ও পরলদা প্রগতি সংঘের উদ্যোগে অল্প ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে মাস্ক।
আর এই মাস্ক তৈরীর অর্ডার এসেছে জেলার ডিএম অফিস ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে বলে জানালেন দাঁতন দুই নম্বর ব্লকের যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনিন্দ্য কুমার সাউ।করোনা রোধে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন প্রক্রিয়া।তবে গৃহস্থের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকান থাকছে খোলা। আর ওই দোকানগুলিতে বাজার করতে গেলে দাঁড়াতে হচ্ছে দূরত্ব বজায় করে। কেউ যেন কারোর সংস্পর্শে না আসে।
আরও পড়ুনঃ নিজের আর্থিক তহবিল থেকে দুঃস্থদের খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলেন,লোকসভার সাংসদ
সেই সঙ্গে থাকছে মুখে মাস্ক , অনেকের আবার হাতে গ্লাভসও। কিন্তু সেই মাস্ক এখন বাজারে অমিল। যে ক’টি আছে তাই আবার দামে চড়া। তাই এবার এই মাস্ক তৈরিতে কাজে নামলেন গ্রামের গৃহবধূরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ২ নম্বর ব্লকের শাউরি দিশারি ও পোরলদা প্রগতি সংঘের উদ্যোগে দুটি গ্রুপের মোট ১০ জন গৃহবধূ মিলে প্রায় ৫০০০ মাস্ক তৈরীর অর্ডার পেয়েছেন।
উক্ত ইউনিটের সদস্যা কৃষ্ণা জানা, কবিতা মান্না, সুজাতা পাল এর বক্তব্য “আমাদের ব্লকের কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মেয়েদের নিয়ে আমাদের একটি ইউনিট আছে, আমরা এই ইউনিটের সদস্যা। ব্লকের বিভিন্ন ধরনের কাজ আমরা অর্ডার অনুযায়ী করে থাকি। এবারে করোনার জন্য বাজারে মাস্কের পরিমাণ কম। এবং দামেও বেশি। তাই সরকারিভাবে আমাদের ব্লকের বিডিও দীপান্বিতা পাত্রের মারফত আমরা জেলার ডিএম অফিসে গিয়ে স্যাম্পল দেখিয়ে মাস্ক তৈরি করার অর্ডার পেয়েছি।
আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে কাঁচামাল অর্থাৎ এই মাস্ক তৈরীর জন্য সামগ্রী পাওয়ার ক্ষেত্রে। যাই হোক করে ব্যবস্থা করছি। এদিকে সময়ও কম, তাড়াতাড়ি যোগান দিতে হবে। রাত দিন করে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। তাই প্রাথমিকভাবে আমরা হাজার পিস করে মাস্ক দুটি গ্রুপ জেলাতে পাঠাবো। পরবর্তী ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে অর্ডার কমপ্লিট করব।
ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দীপান্বিতা পাত্র জানান -“বর্তমান করোনার জন্য যে মাস্কের প্রয়োজন তা বাজারে ঠিকঠাক পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া দামেও চড়া। তাই আমাদের ব্লকের দুটি সংঘের মেয়েরা জেলার ডিএম অফিস থেকে অর্ডার নিয়ে কিছু মাস্ক তৈরি করছে।এরআগে জেলাতে ওরা স্যাম্পল পাঠিয়েছিল।তারপরে এদেরকে ওই কাজ করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ওরা প্রায় ২০০০ মাস্ক জেলাতে পাঠাবে। সেই সঙ্গে আমাদের কাজের সুবিধার্থে আমাদের অফিসে প্রায় ৩০০ পিস মাস্ক নেব।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584