নদী ভাঙনে সর্বস্বান্ত ধানঘড়াবাসী, গ্রামবাসীরা হারাচ্ছে ভিটে – চাষের জমি

0
839

নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ

মুর্শিদাবাদ জেলার গঙ্গা ভাঙন দীর্ঘদিনের সমস্যা। দীর্ঘদিন থেকে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে এবং এই গঙ্গা ভাঙন একটি জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যেক বছর টাকা বরাদ্দের কথাও শোনা যায়, কিন্তু নদীভাঙন প্রতিরোধের সুরাহা মেলেনা।

ganga river | newsfront.co
নদীর ভাঙন। নিজস্ব চিত্র

গঙ্গার তিনটি গতি উচ্চগতি, মধ্যগতি ও নিম্নগতি। নিম্নগতি রাজমহল পাহাড় থেকে মোহনা অর্থাৎ বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। মুর্শিদাবাদ জেলা গঙ্গার নিম্ন গতিতে অবস্থিত হওয়ায় পলি জমে নদীতে ছোট ছোট দ্বীপ অর্থাৎ চড় সৃষ্টি হয়েছে নদীর মধ্যবর্তী জায়গায়। ফলে নদীর নাব্যতা হারিয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জের ধানঘড়া, শিবপুর, প্রতাপগঞ্জ এলাকায় নদী ভাঙন বিশেষ করে সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাপকহারে দেখা দিয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জ থানার নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধানঘড়া ও হিরানন্দপুর গ্রামের সঙ্গে শিবপুর এলাকা নদী ভাঙনের কবলে পড়ে সর্ব হারা এখন গ্রামের মানুষ।

আরও পড়ুনঃ জাতীয় সড়কে ধস! বন্ধ উত্তরবঙ্গের একাধিক সড়ক যোগাযোগ

river erosion | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র
house damage | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

এই অভিশপ্ত নদী ভাঙন শুরু হয়েছিল ১৪ আগস্ট ২০২০ থেকে। একের পর এক নদী ভাঙনের কবলে পড়ে কারো চাষের জমি, কারো ভিটেমাটি আবার কারো মাথা গোঁজার মতো ঠাঁই টুকুও হারিয়ে গিয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ধানঘড়ার পরিবারগুলো। ইতিমধ্যে অনেকের বাড়ি গঙ্গার অতলে তলিয়ে গেছে এবং অনেকে বাড়ি খালি করে খুলে নিয়েছে ইঁট,জানালা, দরজা রড পাওয়ার আশায়।

আরও পড়ুনঃ চোর সন্দেহে নাবালককে মার, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে অবরোধ

house damage | newsfront.co
ভাঙনের কবলে বাড়ি। নিজস্ব চিত্র

এই নদী ভাঙন প্রতিরোধ করতে নদীর মধ্যবর্তী দ্বীপগুলো ড্রিলিং করে মাটি,বালি এই পাড়ে লাগিয়ে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা দরকার। দরকার নদীর ধারে পাথর, কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো। তবে নদী ভাঙন প্রতিরোধ করা যাবে বলে অনেকে মনে করেন।

এলাকাবাসীর আর্জি সরকারের কাছে গঙ্গা ভাঙনের চিরস্থায়ী সমাধান। বিশ্বের বেশিরভাগ শহরগুলো নদীর তীরেই অবস্থিত। বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে সেগুলো হওয়ায় ভাঙনের কথা শোনা যায়না,বরং নদী শহরের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করেছে। তাই নদী ভাঙনে দরকার স্থায়ী সমাধান। যদিও গত বৃস্পতিবারের পরে তেমন ভাবে ভাঙন দেখা যায়নি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here