নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ
মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গি ব্লকের ফরিদপুর অঞ্চলের পোল্লাডাঙ্গায় গ্রামবাসীদের উদ্যোগেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়কে করা হল কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। গ্রামে মোট ৪০ জন পরিযায়ী শ্রমিক আছেন। মুম্বাই,মহারাষ্ট্র ও কেরল থেকে এসেছে পরিযায়ী শ্রমিক।
শুধু কোয়ারেন্টাইন সেন্টারই নয়, যারা থাকবেন তাদের খাবারের সুব্যবস্থা করা হল কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে।
রাজ্য সরকার শুধু স্কুল গুলোকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু তাদের খাবার-দাবারের কোন কথাই ঘোষণা করেনি রাজ্য সরকার।
কিন্তু গ্রামের মানুষ বসে থাকেননি। পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে করে দুবেলা খাবার খেতে পায় তার সুব্যবস্থা করার জন্যই বিভিন্ন জায়গায় ছুটে বেড়াচ্ছেন। গ্রামের মানুষরাই চাঁদা তুলে খাবারের সুব্যবস্থা করছেন
দুই বেলা ভাত ও সকালে টিফিন মুড়ি কলা চা, বিকেল চা বিস্কুট সবই দেওয়া হচ্ছে তাদের।
আরও পড়ুনঃ সবুজায়নের লক্ষ্যে বর্ষব্যাপী বৃক্ষ রোপণের সূচনা
গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘যারা অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে চান, করতে পারবেন। আমরা তা গ্রহণ করব। এই ব্যবস্থা চলতে থাকবে, যতদিন পর্যন্ত আমাদের গ্রামের ছেলেরা ১৪ দিন কাটিয়ে ফিরে আসে।’
যদিও গ্রামের এক ব্যক্তি অনুপ কুমার দে জানান, ‘আমরা সর্ব ধর্ম নির্বিশেষে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কাজ করে চলেছি। আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। কেউ কোনো সাহায্য আশ্বাস পর্যন্ত দেয়নি। তখন গ্রামের মানুষরা নিজেরাই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছি। কারো পুকুরের মাছ কেউ বা পটল বেগুন, সবজি দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তবে এটা মুর্শিদাবাদের প্রথম সেন্টার যেখানে প্রথম থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার দেওয়া হচ্ছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো জনপ্রতিনিধি দেখা মেলেনি। আমাদের কাছে এটা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ ১৪ দিন খাবার পরিবেশন করাটা।’
এক পরিযায়ী শ্রমিক জানান, ‘সত্যি অসাধারণ ব্যবস্থা করেছেন আমাদের জন্য। জলের জন্য বিসলারি জল দেওয়া হচ্ছে।টাইম মতো টিফিন ও খাবার পাচ্ছি।কোনো অসুবিধা নেই। নিয়মিত চায়ের করার সুব্যবস্থা করা হয়েছে।।সকলের জন্য আলাদা ভাবে থাকার সুব্যবস্থা করেছেন। আমাদের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584