স্কুলের উন্নয়নের দাবিতে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর

0
44

সিমা পুরকাইত, দ‌ক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ

স্কুলের পরিকাঠামো অনুন্নয়েনর পাশাপাশি স্কুলের টাকা তছরুপের অভিযোগের প্রতিবাদে সামিল গ্রামের শতাধিক মানুষ। এ দিন তারা স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরুণ হালদারকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে।

villagers protest for school development | newsfront.co
স্কুলের সামনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

এদিকে প্রধান শিক্ষকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন তৃণমূলের গ্রাম সভার সদস্য জুলফিকার মোল্লা-সহ সাগরেদ মাসুদ করিম মোল্লা। ঘটনাটি কুল্পি থানার কামারচক গ্রাম পঞ্চায়েতের রামশ্বরনপুর অবৈতনিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।

১৯৪২ সালে স্কুল স্থাপিত হওয়ার পর শিক্ষার আঙিনা দেখেছিল রামশ্বরনপুর গ্রাম। কিন্তু স্কুলের বেহাল অবস্থা দেখলে মনে হয় পোড়ো ভুতের বাড়ি।

villagers protest for school development | newsfront.co
গ্রামবাসীদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র

নেই স্কুলের পঠন পাঠনের বসার বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল, নেই পাকা শৌচাগারের ব্যবস্থা। স্কুলের দেওয়াল সংরক্ষণ না হওয়াতে পলেস্তার খসে পড়ে। অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে ঘরে দীর্ঘদিন ধরে চলে অাসছে পঠন-পাঠন।

আরও পড়ুনঃ অযোধ্যা মামলা পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট

অন্যদিকে মিড-ডে মিলের খাবার নিয়েও রয়েছে বহু সমস্যা। বর্তমানে ৫ জন শিক্ষক, ১৮০ জন পড়ুয়াদের নিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন। পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি তুলে সরব হয়েছে গ্রামের মানুষজন ।

সূত্রের খবর, স্কুলের কাজে বাধা এসেছে কারণ সেখানেও কাটমানির অভিযোগ, সবটাই তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে।

কিন্তু একাধিকবার অভিযোগ জানিয়ে আজও নিরুপায় খুদে পড়ুয়া থেকে তাদের অবিভাবকরা। বাধ্য হয়ে এ দিন তারা শিক্ষককে স্কুলে আটক করে রাখেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ স্কুল পোশাক থেকে বিদ্যুতায়নের টাকা এসেছে। কিন্তু কাজ না করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করছে প্রধান শিক্ষক-সহ ভিসি কমিটি। তাদের বক্তব্য, লক্ষ লক্ষ টাকার আত্মসাতে জড়িত রামশ্বরনপুর গ্রাম সভার তৃণমূল সদস্য জুলফিকার মোল্লা।

আরও পড়ুনঃ দুই কোটি মূল্যের গাঁজা গাছ পোড়াল পুলিশ

ঘটনাস্থলে আজ জুলফিকার মোল্লা-সহ তারই সাগরেদ মাসুদ করিম মোল্লা প্রধান শিক্ষকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। এমনকি গ্রামবাসীদের বিরোধী দল বলে অভিযোগও করেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে ওই তৃণমূল সদস্য সহ তার সাগরেদ ও প্রধান শিক্ষক বরুণ হালদারকে ঘিরে গ্রামের মানুষজন বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রধান শিক্ষক কয়েক মাসের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বস্ত করেন। সমাধান না হলে ভবিষ্যতে স্বাধীনতার আগে গড়ে ওঠা স্কুলের পঠন-পাঠন সংশয় হয়ে দাঁড়াবে । পাশাপাশি সর্ব শিক্ষা মিশন‌ের মাধ্য‌মে অন্যান্য স্কুল এ‌ত উন্নয়ন হ‌লেও কেন পি‌ছি‌য়ে রয়েছে রা‌মেশ্বরপুর অ‌বৈত‌নিক বিদ্যালয়, তা নি‌য়ে উঠ‌ছে প্রশ্ন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here