সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
১৯৫৬ সালে তৈরি হয়েছিল সেতু।বর্ধমান সেচখালের উপরে সেতুটি তৈরি করেছিল সেচ দফতর। তারপর আর সংস্কারের মুখ দেখেনি সেতু। ১৯৭৮-র বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয় সেতুর।পরে সেতুটির উপর দিয়ে দশ টনের বেশি ওজনের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সেচ দফতর।দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র দিলীপ অগস্তি সহ বিধায়ক ও কাউন্সিলররা সেতু পরিদর্শন করলেন।
কয়েকদিন আগে বীরভানপুরের কাছে মোটরবাইক-সহ ডিভিসি-র ফিডার ক্যানালে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল দু’জনের। গার্ডওয়াল ছিল না বলেই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাই গার্ডওয়াল তৈরির আর্জি জানিয়ে ইতিমধ্যেই ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন মেয়র।যদিও ডিভিসি-এর পক্ষ দাবি করা হয়েছে,সেতুটি বহু দিন আগেই রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।পুরসভা আপাতত বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছে এলাকাটি।
বর্ধমানের সঙ্গে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া,দুই মেদিনীপুরের অন্যতম যোগাযোগকারী রাস্তায় এই সেতু।বাসিন্দাদের আশঙ্কা,সেতু ভেঙে গেলে একদিকে যেমন দুর্ঘটনার শিকার হবেন বহু মানুষ,অন্যদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা পাশ্ববর্তী জেলাগুলির সাথে তা বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয় নিষেধাজ্ঞা না মেনে ট্রাক,ভারী গাড়ির নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে সেতু দিয়ে। ফলতঃ দুলতে থাকে সেতুটি।সেতুর এই দশা দেখে আশঙ্কায় দিন গুনছে দুর্গাপুর।
আরও পড়ুনঃ অন্নভোগে প্রবেশাধিকার নেই বাড়ির মহিলাদের
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584