অরিত্র ঘোষ, বীরভূমঃ
ভারতবর্ষের মধ্যে বেশকিছু দর্শনীয় এবং আকর্ষণীয় স্থান গুলির মধ্যে ঠাঁই পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতন। বাঙালির প্রাণপ্রিয় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে শীতকালীন পৌষমেলা।
উল্লেখ্য প্রতি বছর এই পৌষমেলাকে কেন্দ্র করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোন না কোন বিতর্কের সূত্রপাত হয়। বিগত বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর ঠিক এই কারণেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবছর আর পূর্বপল্লী মেলার মাঠে আর মেলা করবেনা। কিন্তু প্রাচীন রীতিনীতি মেনে আশ্রম প্রাঙ্গণে পৌষ উৎসবের আয়োজন করবে।
এবছরের শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা এবং ঐতিহ্যমণ্ডিত বসন্ত উৎসব নিয়ে প্রথম থেকেই বেশ কিছু অস্থিরতা এবং বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। দীর্ঘ টালবাহানার পর পৌষমেলা হলেও চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় মেলা শেষে। দেখা যায়, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের মেলার মাঠ ছাড়তে বাধ্য করছেন। ঠিক তারপরেই শুরু হয় দফায় দফায় অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ জয়েন্ট, নিট পরীক্ষার নতুন নির্ঘন্ট প্রকাশ
শান্তিনিকেতনের ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে উপাচার্য ও বেশ কিছু জনের নামে শান্তিনিকেতন থানায় শ্লীলতাহানি সহ নানান অভিযোগ দায়ের করা হয়। অপরদিকে এবছরের দোলের দিন বসন্ত উৎসব না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পক্ষে, যার মূল কারণ ছিল বিগত বছরের বিশৃঙ্খলা, যানজট এবং দূষণ। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে রাজ্য সরকারের তরফে দোলের দিন বসন্ত উৎসব করার দায়িত্ব নেওয়া হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির আগমনে তা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুনঃ আগামী মাস থেকেই প্রথম ধাপে ৮ টি সেতু সংস্কারের কাজ শুরু করবে কেএমডিএঃ ফিরহাদ
শুক্রবার বিশ্বভারতীর কর্মীসমিতির সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে জানানো হয় পৌষমেলা করতে অপারগ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং পাশাপাশি এও জানানো হয় যে দোলের দিন বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব না করানো নিয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অভিযোগ, কাদা ছোড়াছুড়ি, এবং পৌষমেলা ও বসন্ত উৎসবকে ঘিরে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় সেই কারণেই হয়ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এরকম নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এমনটাই মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584