শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
এবারও হচ্ছে না রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজের হাতে প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনে প্রতিবছরই হয় পৌষমেলা। গতবছর করোনার কারণে স্থগিত ছিল এই ঐতিহ্যবাহী মেলা। এবছরও আয়োজন করা হয়নি পৌষ মেলার। যদিও এবছর করোনা কোনপ্রকার সেভাবে প্রকোপ ছিল না, তবুও কিছু কারণবশত আয়োজন করা সম্ভব হয়নি এই মেলার।
প্রতিবছর ৭ই পৌষ ঐতিহাসিক ছাতিমতলায় উপাসনার মাধ্যমে পৌষ মেলার সূচনা করা হয়। সেই চিরাচরিত প্রথা মেনে আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সহ উপাচার্য উপস্থিত হন ছাতিম তলায়। পৌষমেলা সূচনার পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে এবছর পৌষমেলা না হওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে দুষলেন তিনি। তিনি বলেন, “পৌষমেলা এবছর করার জন্যে আমরা প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি পাঠাই। তারপর রাজ্য স্বাস্থ্যসচিবকে আমরা অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠাই। পরবর্তীতে তিনবার অবগত করলেও কোন উত্তর মেলেনি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। তাই আমরা এবছর মেলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এবছর পৌষমেলা না হওয়ায় দারুণ ভাবে হতাশ বিশ্বভারতীর শিক্ষার্থী সহ ভ্রমণ পিপাসু রবীন্দ্র প্রেমী মানুষজন। তাদের একাংশের বক্তব্য অনুযায়ী, এভাবে বছরের পর বছর মেলা বন্ধ থাকলে রবীন্দ্রনাথের ঐতিহ্য অনেকাংশে ভাটা পড়বে।
তবে এদিন উপাচার্যের বক্তব্য বিতর্ক ছড়িয়েছে বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে। এদিন বক্তব্যের মাঝে উপাচার্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের ভূয়সী প্রসংশা করেন। যা নিয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, ঐতিহ্যবাহী ছাতিম তলায় দাঁড়িয়ে এভাবে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখতে পারে না উপাচার্য।
আরও পড়ুনঃ ওমিক্রন আতঙ্কে ক্রিস্টমাস ও নতুন বছর উদযাপনের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল দিল্লি সরকার
বিশেষভাবে উল্লেখ্য এবছর পৌষমেলা না হলেও, বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প মেলার আয়োজন করা হয়েছে চারদিনব্যাপী। এই মেলাটি ৭ই পৌষ শুরু হয়েছে শেষ হবে ১১ই পৌষ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584