বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনবাসীদের সাহায্যার্থে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন

0
38

সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ

বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণ সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় উঠে এসেছে সাতটি ব্লকের নাম। তাদের থেকেও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাগরব্লক, নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, গোসাবা, বাসন্তই-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ৯ মে বুলবুল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পরে দক্ষিণ সুন্দরবনে। সাগরদ্বীপের গঙ্গাসাগর, ধবললাট গ্রাম পঞ্চায়েতের মতো ক্ষতির মুখে নামখানা ব্লকের মৌশুনীদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত।

volunteer organization support cyclone devastated areas of sundarban | newsfront.co
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ওয়ার্কশপ। নিজস্ব চিত্র

বুলবুল ঝড়ের পর সুন্দরবনের হাল-হকিকত বদলালেও বদলায়নি মানুষের চাওয়া-পাওয়া, অভাব-অভিযোগ। বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের পর সচেতনতায় এগিয়ে এসেছে সেন্ট্রাল ফর সাসটেনেবল সলিউশন (সিএসএস)।

নামখানা ব্লকের মৌশুনী গ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগে বালিয়াড়া মৌজার বঙ্গোপসাগরের মোহনায় একদিন ব্যাপী সচেতনতা শিবির আয়োজন করে সিএসএস সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সচিব সুজয় চৌধুরী।

আরও পড়ুনঃ সহযাত্রী-বিমান কর্তৃপক্ষের সাথে বচসা সাধ্বী প্রজ্ঞার, উড়ানে বিলম্ব ৪৫ মিনিট

volunteer organization support cyclone devastated areas of sundarban | newsfront.co
উপস্থিত দর্শক ও শ্রোতা। নিজস্ব চিত্র

প্রত্যন্ত এলাকাবাসীদের নিয়ে এই সচেতনতা শিবির জোর দেয় তিনটি বিষয়ের উপর– পানীয় জলের অপচয় রোধ, আর্বজনা মুক্ত সমুদ্র তট, এবং ম্যানগ্রোভ বাঁচানোর সচেতনতা।

আরও পড়ুনঃ বাঘাযতীনে আক্রান্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা, দুষ্কৃতীদের মুখে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি

সূত্রের খবর, কয়েকশো দ্বীপবাসীদের নিয়ে বিকাল থেকে শুরু হয় এই সচেতনতার কর্মশালা। কচিকাচাদের নিয়ে চলে নানান সংস্কৃতি অনুষ্ঠান। বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত চিত্র তুলে ধরা হয় প্রবীণদের অঙ্কন প্রতিযোগিতায়। পাশাপাশি এই শিবিরে আয়োজন করা হয় খুদেদের নৃত্য প্রতিযোগিতার।

এ দিন সচেতনতার কর্মশালায় অংশ নেন সমাজসেবী শুভঙ্কর গোলদার, সুব্রত পানিগ্রাহী, মৌশুনী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান রাম মন্ডল, গ্রামসভার সদস্য কায়েম খান, প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি হিমাংশু আইচ।

প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের উদ্দেশ্যে সিএসএস সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সচিব সুজয় চৌধুরী বলেন, আজ সুন্দরবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে নিজেদের অসহযোগিতার কারণে।

নিজেরা সর্তক না হওয়াতে পড়তে হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাতে। জল অপচয় বন্ধ রোধ না হওয়ার কারণে জলসঙ্কটে পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে আগামী প্রজন্মের মানুষ অনেক বেশি করে সমস্যায় পড়বেন।

তিনি আরও বলেন, সমুদ্রতট আজ অপরিস্কার। সুস্থ পরিবেশ হারাচ্ছে দিনের পর দিন। নিজেদের সচেতন হতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে বসুন্ধরাকে নিজেদের বাঁচাতে হবে।

বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের পর একের পর এক সমস্যায় এগিয়ে এসেছে সরকারি থেকে বেসরকারি সংগঠন। সিএসএস এর এমন অভিনব প্রয়াসে মানুষ কতটা সচেতন হয়, এখন সেটাই দেখার।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here