নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
রাজাভাতখাওয়ায় শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে আকাশে উড়বে আরো আট শকুন। গত বছর এই শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে ছয় শকুনকে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন ট্যাগ লাগিয়ে খোলা আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। আকাশে উড়ে যাওয়া সেই শকুনগুলোর গতিবিধি সম্পর্কে নিয়মিত তথ্য পাচ্ছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প। ছেড়ে দেওয়া সেই সব শকুনেরা খোলা আকাশে অন্যান্য শকুনদের সাথে মিশে গেছে।
শুধু তাই নয় বিভিন্ন লুপ্তপ্রায় শকুনের শকুনের সঙ্গে মিশে প্রকৃতিতে বেশ ভালোই রয়েছে তারা। আর সেখান থেকে উৎসাহিত হয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প আরো আট শকুনকে খোলা আকাশে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। আগের মতো স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন ট্যাগ লাগিয়েই শকুন গুলোকে ছাড়া হবে বলে জানিয়েছেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, শকুনের বিলুপ্তির কারনে উদ্বেগ বাড়ছে পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের। সে কারনেই শকুন বাঁচিয়ে রাখার নানান উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বানভাসী মানুষদের খাবার বিলি করলেন শিক্ষকরা
২০০৬ সালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শকুন প্রজনন কেন্দ্রে চালু হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিলপ্তি প্রায় শকুন উদ্ধার করে এই প্রজনন কেন্দ্রে রেখে তাদের বংশ বৃদ্ধি করা শুরু হয়। খুশির খবর বর্তমানে রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রে চার প্রজাতির মোট ১৩০টি শকুন রয়েছে। এই শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে প্রথম দফায় ছয় শকুনকে আকাশে ছাড়া হয়েছে। পরের দফায় আরও আট শকুনকে খোলা আকাশে ছাড়া হবে বলে জানিয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ শালবনীতে লকডাউন পাঠশালা-ই হুল দিবস উদযাপন
এ বিষয়ে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা শুভংকর সেনগুপ্ত বলেন, ” আমরা আরো আট শকুনকে রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে খোলা আকাশে ছেড়ে দেব। এবার আমরা বিভিন্ন বিরল প্রজাতির শকুন খোলা আকাশে ছাড়বো। আগের মতো স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন ট্যাগ লাগিয়েই শকুনগুলোকে খোলা আকাশে ছাড়া হবে। এখনও স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন ট্যাগ আমাদের হাতে আসে নি। তবে অর্ডার দেওয়া রয়েছে। বর্ষার পরেই আমরা আট শকুনকে খোলা আকাশে ছাড়ার ব্যাবস্থা করবো।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584