নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
আলিপুরদুযার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের চুনিয়াঝোড়া চা-বাগানে পানীয় জলের হা হা কার। প্রতিনিয়ত জলের সমস্যা বেড়েই চলছে এলাকায়।
জানা গেছে, দীর্ঘ ৪০ বছর থেকে এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এলাকার প্রায় চার হাজার বাসিন্দারা। পিএইচই জলের ব্যবস্থা না থাকায় একমাত্র ভরসা চা-বাগানের জল কখন সেটাও মেলে না বাধ্য হয়ে আয়রন যুক্ত জল খেতে হচ্ছে তাঁদের। আর তাতেই পেটের রোগে আক্রান্ত অনেকই।
এই বিষয়ে চার মাইল এলাকার বাসিন্দা সুরোজ মুন্ডা বলেন,’এলাকায় একটি মাত্র কল রয়েছে বর্তমান জল নীচে চলে গিয়েছে আমরা জল পাচ্ছিনা জল নিতে গেলে কারাকারি হচ্ছে মাঝে মধ্যে বচসার মুখে পড়তে হয় নিজেদের।
আরও পড়ুনঃ রামনগরে সদ্যোজাত শিশু মৃত্যুতে বেসরকারি নার্সিংহোমে বিক্ষোভ
একটি মাত্র ট্যাঙ্ক দিয়ে সমস্যা মিটছে না।এলাকায় একটি কল থাকায় চরম সংকটে রয়েছি আমরা ।একই ভাবে বাগানের তিন নম্বর, পাঁচ নম্বর ও ডিভিশন লাইনে সমস্যা রয়েছে বলে বাগানের শ্রমিক পরিবারের অভিযোগ।’
উল্লেখ্য, ভারত-ভূটান সীমান্তের তুরতুরিখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের চুনিয়াঝোড়া চা-বাগানের ৩ নম্বর লাইন ৫ নম্বর নাইন ৪ মাইল ও ডিভিশন লাইনে সবচেয়ে সমস্যা বেশী। বর্তমানে সময়ে তীব্র জল সংকট রয়েছেন তাঁরা।
চার মাইল এলাকার পাশেই ফাঁসখাওয়া পাহাড় থাকায় এলাকার একটি মাত্র রিক বোর্ডে জল শুকিয়ে গিয়েছে বহু নীচের থেকে জল উঠছে না বলে বাগানের ৫০টির বেশী পরিবারকে বাগানের গাড়িতে করে সারদিনে এক ট্যাঙ্ক জল সরাবাহ করছেন। পরিমাণ অনুযায়ী খুব কম জল সরাবহ করায় অনেকই জল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
এই বিষয়ে কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মঞ্জিলা লামা বলেন, ‘আমাদের কাছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর থেকে ১০০ টি রিক রোর্ড এসেছে আমাদের তুরতুরিখণ্ডে এলাকায় ৩০ মত রিক বোর্ড বসবে। চুনিয়াঝোড়া থেকে শুরু হয়েছে। যদি ওই এলাকায় না থাকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’
এই বিষয়ে কুমারগ্রাম ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মিহির কর্মকার বলেন, ‘আমাকে এই বিষয়ে এখন কেউ জানায়নি আমি জেলার মাধ্যমে পিএইচই জলের সরাবাহ জন্য চেষ্টা করব ।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584