নিউজ ফ্রন্ট,নিউ দিল্লী:
উত্তর প্রদেশের উন্নাও এর ধর্ষিতা নাবালিকা ও জন্মুর নাবালিকা আসিফার হত্যাকারীদের রক্ষাকবচ হিসেবে আসরে নেমেছে বিজেপি। এই অভিযোগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব বিরাট মোমবাতি মিছিলে ইন্ডিয়া গেটে মিলিত হলেন কংগ্রেস কর্মীরা।
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সহ কংগ্রেস সমর্থকদের একটা বিরাট অংশ এই মিছিলে অংশ নেওয়ায় রাহুল গান্ধীর গুরুত্ব জাতীয় রাজনীতিতে একধাপে অনেকটাই বেড়ে গেলো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। মিছিলে অংশ নিয়ে মোদির বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও শ্লোগান নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি কংগ্রেসের তাবড় তাবড় নেতারা।
অন্যদিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কংগ্রেসের মোমবাতি মিছিলকে “কংগ্রেস রাজনীতি” করছে বলে মন্তব্য করেন। প্রসঙ্গত সাতদিন ধরে দুটি ধর্ষণকান্ডে উত্তাল দেশ।
এক ৮বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয় জম্মুর কাঠুয়ায়। দুই, উত্তর প্রদেশের উন্নাওতে ধর্ষিতা নাবালিকার বাবার পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু। এই দুই মৃত্যুকে কেন্দ্র করেই রাজনীতির কারবারিরা ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন বলেই মনে করেন বিশিষ্ঠ জনেরা।
যদিও বলিউডের অনেক তারকাকেই আসিফা হত্যাকান্ড নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে। রাজনৈতিক মিছিল হিসেবে কংগ্রেসের সদর দপ্তর থেকে শুরু হলেও পরবর্তীতে অনেক সাধারণমানুষকে মধ্যরাতের এই মিছিলে অংশ নিতে দেখা যায়। প্রীয়াঙ্কা বঢরা ও রবার্ট বঢরার দশ বছরের মেয়ে মিরা বঢরা মা বাবার সাথে অংশগ্রহণ করেছেন এই মিছিলে। নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও উত্তর প্রদেশের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংঙ্গারের গ্রেফতারের দাবি ওঠে এই মোমবাতি মিছিলে।
কংগ্রেসের এই মধ্যরাতের মিছিল মনে করায় ছ’বছর আগের নির্ভয়া কান্ডকে। সেদিন কংগ্রেস ছিলো ক্ষমতায়, আজ বিজেপি। সেদিনও মোমবাতি মিছিলে আন্দোলিত হয়েছিল গোটা দেশ। আইন তৈরী হয়েছে, কিন্তু মানসিকতা বদলায়নি এতোটুকু। পাশবিকতার মাত্রা বেড়েছে দিনের পর দিন। দেশবাসীর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে আমাদের নেতা নেত্রীরা- এমনটাই মনে করেন দেশের সমাজসচেতন ও অভিজ্ঞ মহল। তাই দিনের শেষে কংগ্রেসের এই মিছিলকে রাজনীতির বাইরে দেখতে নারাজ তারা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584