শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
বিধানসভা নির্বাচন এখনও ঘোষণাও করেনি নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যেই রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক রক্তক্ষয়। হেমতাবাদ, গোঘাটে বিজেপি নেতাদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর টিটাগড়ে প্রকাশ্য রাস্তায় রবিবার রাতেই গুলি করে খুন করা হয়েছে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে। এই খবর কানে আসতেই টুইট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
কিন্তু এই ঘটনায় তিনি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিসের ডিজিকে ডেকে পাঠালেও কেউই আসেননি। তাতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে দ্বিতীয় ট্যুইটও করেছেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে, মৃত নেতার বাড়িতে গিয়ে তার মাকে সাত্ত্বনা দিয়ে এসেছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
ACS Home @MamataOfficial and DGP @WBPolice have been summoned at 10 am tomorrow in the wake of worsening law and order situation leading to dastardly killing of Manish Shukla, Councillor, Titagarh Municipality in political party office.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) October 4, 2020
প্রথম টুইটে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতির জন্যই ভয়াবহ খুনের ঘটনা। এ বিষয়ে আলোচনার জন্য তলব করা হয়েছে রাজ্যের দুই প্রধান আধিকারিককে। সোমবার সকাল ১০টার মধ্যেই রাজভবনে তাঁদের তলব করা হয়েছে।’
Alarming nosediving law and order scenario @MamataOfficial
Targeted political killings in spite of alert by Constitutional Head.
Neither ACS Home nor DGP @WBPolice responded.
To CM at 10.47 PM “Would like to speak to you urgently !”
Only silence that speaks volumes
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) October 5, 2020
কিন্তু তারা হাজিরা না দেওয়ায় সকাল ১১ টা নাগাদ রাজ্যপাল দ্বিতীয় টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, “রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের তরফে সতর্ক করে দেওয়ার পরেও নিশানা করে রাজনৈতিক খুন করা হচ্ছে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাই। নীরবতা অনেক কিছু বলে দেয়।’
প্রসঙ্গত, টিটাগড়ে রবিবার ভরসন্ধ্যায় থানার সামনেই খুন হন অর্জুন সিংয়ের ডানহাত বিজেপির দাপুটে নেতা মনীশ শুক্লা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সন্ধেয় গাড়ি থেকে নামতেই দুটি বাইকে চড়ে আসা ৪ জন দুষ্কৃতী মণীশ শুক্লাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। প্রায় ১৫ থেকে ১৬ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
আরও পড়ুনঃ টিটাগড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু অর্জুন ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতার
যদিও পুলিশ বলছে সাত রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। যারমধ্যে চারটি গুলি লাগে মণীশের মাথায়, পেটে এবং বুকে। রাতেই তড়িঘড়ি মণীশকে কলকাতার হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি।
চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে বিজেপি। খুনের বিষয়টি জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে।
আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী
এই নিয়ে বদলার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং টুইট করেন, মণীশ শুক্লা ছিল আমার ছোট ভাইয়ের মতো। সবসময় ঢাল হয়ে আমাকে আড়াল করতো। বঙ্গভূমির জন্য শহিদ হয়েছে আজ।
मनीष मेरा छोटा भाई था, हमेशा मेरी ढाल बन कर खड़ा रहा मेरे साथ।
आज वो बंगाल की भूमि के लिए शहीद हुआ है, यह बलिदान बैरकपुर और बंगाल याद रखेगा।
टीएमसी, उसके नेता और पुलिस सब अपनी इस गलती और कुकर्म का फल यहीं भुगतेंगे।
— Arjun Singh (@ArjunsinghWB) October 4, 2020
ওঁর বলিদান কখনও ভুলবে না ব্যারাকপুর ও বাংলা। তৃণমূল, ওদের নেতারা আর পুলিশকে তাদের কুকর্মের ফল ভোগ করতে হবে।
भारतीय जनता पार्टी के पार्षद श्री मनीष शुक्ला जी की बैरकपुर में गोली मारकर हत्या कर दी गयी है, पश्चिम बंगाल में ममता के गुंडे एक तरफ खुलेआम हत्याओं को अंजाम दे रहे हैं वहीं दूसरी तरफ प्रशासन इन अपराधियों को संरक्षण देने का कार्य कर रहा है ।
— Arvind Menon (@MenonArvindBJP) October 4, 2020
অন্যদিকে, বিজেপি নেতার মৃত্যুতে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেছেন দলের জাতীয় সম্পাদক অরবিন্দ মেনন। তিনি টুইট করেন, ব্যারাকপুরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে। পশ্চিমবঙ্গে মমতার গুন্ডারা প্রকাশ্যে হত্যা করে চলেছে। ওইসব গুন্ডাদের আশ্রয় দিচ্ছে প্রশাসন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584