দিনে লক্ষাধিক পরীক্ষার লক্ষ্যে সুইডেন থেকে বিশেষ যন্ত্র আনাচ্ছে রাজ্য

0
89

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

রাজ্যে প্রত্যেকদিন ১০ থেকে ১১ হাজার টেস্ট করা হলেও প্রত্যেকদিনই বিপুল করোনা পরীক্ষার আবেদন জমা পড়ছে। আর সেই পরীক্ষাগুলি করার পর রিপোর্ট করোনা পজিটিভ এলে সেই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার আগেই ফের ছড়িয়ে যাচ্ছে সংক্রমণ। কারণ পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিতেও লেগে যাচ্ছে বেশ কয়েক দিন।

Special machine | newsfront.co
সংবাদ চিত্র

এই পরিস্থিতিতে করোনা মহামারী রূপ নিলেও প্রত্যেকদিন যাতে লক্ষাধিক টেস্ট একসঙ্গে করা যায়, রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষার যাতে গতিবৃদ্ধি হয়, সেই লক্ষ্যে সুইডেন থেকে বিশেষ ৮ টি কোবাস কিট যন্ত্র নিয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সারা দেশের মধ্যে অনেকগুলি রাজ্য এর বরাত দিলেও তা প্রথম পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গই, এমনটাই সূত্রের খবর।

সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মার্চের পর ফের জুলাই মাসে বর্ষা পুরোদমে শুরু হতেই ফের মহামারী রূপ নিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। জুলাই মাসেই এই যন্ত্র দিয়ে যাতে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়, সে জন্য সব বন্দোবস্ত পাকা করে ফেলেছে রাজ্য প্রশাসন। ঠিক করা হয়েছে, নাইসেড ও স্বাস্থ্য দপ্তর একসঙ্গে এই কাজ করবে।

আরও পড়ুনঃ করোনার বাড়বাড়ন্তে বেঙ্গালুরুতে ফের এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন

আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ থাকায় সুইডেন থেকে এই যন্ত্র সমুদ্রপথে নিয়ে আসা হচ্ছে। প্রথম দফায় আটটি যন্ত্র আনা হবে। এক-একটি কোবাস ৫ থেকে ৬ ঘণ্টায় গড়ে ১২ হাজার ব্যক্তির লালারস আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হবে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, প্রথম দফায় কলকাতা ও উত্তরবঙ্গের কিছু বাছাই করা মেডিক্যাল কলেজ ও ল্যাবে কোবাস কিট কাজে লাগানো হবে।

আরও পড়ুনঃ পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর

পরে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার বাড়ানো হবে। এক-একটা কোবাস যন্ত্রের দাম গড়ে দেড় লক্ষ টাকা। আমদানি শুল্ক ও অন্যান্য খরচ মিটিয়ে দুলক্ষ টাকা পড়বে। দ্বিতীয়ত, আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে ভাইরাসের জিন সংশ্লেষ করে পরীক্ষা হয় বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আইসিএমআরের গাইডলাইন লঙ্ঘিত হবার সম্ভাবনা থাকবে না। একই সঙ্গে দৈনন্দিন খরচ অনেক কমে যাবে এবং পরীক্ষার ফলাফল ও নির্ভুল হবে বলে দাবি স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here