শুভব্রত সরকার, মুর্শিদাবাদঃ
করোনা মহামারি থাবা বসিয়েছে মানুষ গড়ার কারিগরদের উপরও। করোনার দাপটে গৃহশিক্ষকের অবস্থা আজ চরম সংকটে। বন্ধ হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা। প্রত্যন্ত অঞ্চলে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ কমেছে শিক্ষার্থীদের। অবস্থার অবনতি হয়েছে গৃহশিক্ষকদেরও। তারা প্রায় রোজকারহীন হয়ে পড়েছে।
তারা জানাচ্ছেন, এই অবস্থাকে আরো কিছুটা জটিল করে তুলেছে শহর অঞ্চলে সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলের শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা। আইন পাশ হলেও বাস্তবে তা কার্যকরী হয়নি। অনেক শিক্ষক আইনের বেড়াজাল থেকে বাঁচতে শুরু করেছেন অনলাইন কোচিং। অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকরা আরও এক ধাপ এগিয়ে বেতন জমা নিচ্ছেন অন্যের অ্যাকাউন্টে।
পশ্চিমবঙ্গের গৃহ শিক্ষকরা নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে গড়ে তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি। তাদের এই সংগঠনে তাদের পেশাকে সরকারি স্বীকৃতি, শিক্ষা নিয়ে কালো বাজারি বন্ধ, স্কুল গুলিতে প্রজেক্টের ভয় দেখিয়ে মানসিক অত্যাচার বন্ধ সহ একাধিক দাবি রয়েছে। সংগঠনের সদস্যরা জানালেন, কেন্দ্রীয় সরকারের RTE অ্যাক্ট ও রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের ৮ মার্চ ২০১৮ নির্দেশিকা অনুযায়ী সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের গৃহশিক্ষকতা সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ। কিন্তু কিছু স্কুল শিক্ষক মিথ্যা মুচলেখা জমা দিয়ে অবাধে গৃহশিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য, প্রশংসনীয় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
এই সংগঠনের পক্ষ থেকে এস.আই অফিসে ও ডি.আই অফিসে ডেপুটেশনের পাশাপাশি হাইকোর্টে কেস ফাইল পর্যন্তও করেছেন। এখন তারা গৃহশিক্ষকতা আটকাতে বিভিন্ন শিক্ষকের বাড়ি যাচ্ছেন ও তাদেরকে এই বিষয়ে অবগত করছেন।
গতকাল শনিবার রাত্রে মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির উদ্যোগে মধুপুর এলাকায় সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ চন্দের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল এক শিক্ষকের বাড়ি যান ও তার সাথে কথা বলেন। সেই শিক্ষক তাদের কথা দেন তিনি গৃহশিক্ষকতার সাথে আর যুক্ত থাকবেন না। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটা বন্ধ না হলে পরবর্তীতে তারা আরো বড় কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584