কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে শোকজ

0
53

নিজস্ব সংবাদদাতা, কোচবিহারঃ

কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে শোকজ করলেন রাজ্যপাল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত কে ঘিরে নতুন করে আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ল।

west bengal governor showcase to university vice chancellor | newsfront.co
ছবিঃ প্রতিবেদক

রাজভবনের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায়কে শো-কজের বিষয়টি জানানো হয়েছে। শুধু শো-কজ নয়, তাঁকে অপসারণ করার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সুত্রের খবর, আচার্য জগদীপ ধনকড়ের শোকজ নোটিস রাজভবনের তরফে উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় ও উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি মণীশ জৈনকে পাঠানো হচ্ছে।

west bengal governor showcase to university vice chancellor | newsfront.co
ছবিঃ প্রতিবেদক

জানা গিয়েছে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সাজো সাজো রব বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমন্ত্রণের কাজও প্রায় শেষ। জানা গিয়েছে, আমন্ত্রণপত্রে নাম রয়েছে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ-সহ একাধিক মন্ত্রীর। তবে তাতে নাম নেই আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের।

আরও পড়ুনঃ গোপন সূত্রে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার সাতটি হাতির দাঁত, গ্রেফতার অভিযুক্ত

নিয়মানুযায়ী, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের আগে আচার্য তথা রাজ্যপালের সম্মতি নিতে হয়। তবে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠান করা সম্ভব। এমনকি, আচার্যের উপস্থিতি ছাড়া সমাবর্তন কার্যত অসম্ভব। তবে এক্ষেত্রে অনুমতি তো দূরের কথা আমন্ত্রণপত্রেও নেই জগদীপ ধনকড়ের নাম। তাতেই ক্ষুব্ধ আচার্য। বুধবার সকালে টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

ঘটনা প্রসঙ্গে উপাচার্য দেব কুমার মুখোপাধ্যায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,”নিয়মাবলী অনুসরণ করেই আচার্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কিন্তু দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও রাজ্যপালের তরফ থেকে আমরা কোনো আশ্বাস না পেয়ে আমন্ত্রণপত্র ছাপাতে বাধ্য হয়েছি “।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here