সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
এ এক নিয়ম ভাঙার গল্প। দশমীর সিঁদুর খেলায় শামিল হলেন রূপান্তরকামী এবং বিধবা মহিলারা। চিরাচরিত প্রথা ভেঙে নতুন অধ্যায়ের সূচনা বর্ধমানে।
নারী হয়েও দেবীবরণ, সিঁদুর খেলা থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হতেন রূপান্তরকামী এবং বিধবা মহিলারা। শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে বর্ধমানের কাঁটাপুকুরের একটি পূজামণ্ডপে পান, সুপারি দিয়ে দুর্গাকে বরণ করলেন বিধবা এবং বৃহন্নলারা।
বিধবা মহিলাদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা মমতা সিকদার, মীরা সিনহারা যোগদান করেছিলেন। তাঁরা বলেন, স্বামী মারা গেছেন। বিধবাদের অংশগ্রহণে বাধা থাকে পূজোর মূল কাজে। এইরকম একটি অধ্যায়ে অংশ নিতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন তাঁরা।
শহরের পাঞ্জাবিপাড়ার বাসিন্দা রূপান্তরকামী পায়েল, পলিরা জানান, সমাজে সবাই পূজোর আনন্দে মাতলেও তাঁদের জন্য থাকে বিধি নিষেধের বেড়াজাল।
আরও পড়ুনঃ বিসর্জন ঘিরে মেলা মাদারিহাটে
আয়োজকদের পক্ষ থেকে পেশায় শিক্ষক মৈনাক মুখোপাধ্যায় বলেন, সবাই সমাজের এই উৎসবে শামিল হয়। সেখানে বিধবা এবং বৃহন্নলারা কেন দূরে থাকবেন? সংস্থার সম্পাদক দেবজিৎ সিংহ বলেন, কয়েকটি বড় পুজো কমিটির আবেদন করা হলেও তাঁরা আমাদের আবেদন গ্রাহ্য করেনি। কাঁটাপুকুর সার্বজনীন হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় ধন্যবাদ জানান তাঁরা।
নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পেরে খুশি কাঁটাপুকুর সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার যে উদ্যোগ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং একটি পুজো কমিটি দেখালো পরবর্তীকালে সেটি হয়তো মূলধারার রীতিতে পরিণত হবে বলে মনে করছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584