নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
১৮৫৬ সালের ৭ ডিসেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর শুরু করেছিলেন বিধবা বিবাহ। পাত্রী ছিলেন কালীমতী দেবী আর পাত্র ছিলেন শোভাবাজার রাজবাড়ীর গৃহশিক্ষক শ্রীশ বিদ্যারত্ন। মেদিনীপুরের এক সংস্থার উদ্যোগে শনিবার দেওয়া হলো এক বিধবার বিয়ে। পাত্রের নাম স্বপন ঘোড়াই, বাড়ি মেদিনীপুর শহরের ঝর্নাডাঙ্গায়। পাত্রীর নাম স্বাথী প্রামানিক, বাড়ি লালগড়ের সোনাকড়া গ্রামে ।
এবছর চলছে বিদ্যাসাগর জন্মের দ্বিশতবর্ষ। বছরভর চলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। ২৪ সেপ্টেম্বর ঘাটালের বীরসিংহ গ্রামে এসে দ্বিশতবর্ষ অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
পন্ডিত ঈস্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বছরভর স্মরণে বিদ্যাসাগর’ কর্মসূচির সার্বিক ও সার্থক রূপায়ণের প্রচেষ্টায় মেদিনীপুরের এক সংস্থার এর উদ্যোগে ‘বিধবা বিবাহ সূচনা দিবস’ পালন করা হয় ।
রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ১৮৫৬ সালের ৭ ডিসেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-এর উপস্থিতিতে প্রথম বিধবা বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সেই দিনটির সম্মানে মিডনাপুর ডট ইন এর উদ্যোগে সংস্থার কার্যালয়ে বিদ্যাসাগর এর মূর্তিকে সাক্ষী রেখে ও আশীর্বাদ নিয়ে মালা বদল করলেন স্বপন ও স্বাথী। শাঁখ বাজিয়ে উলু ধ্বনি দিয়ে নব দম্পতিকে স্বাগত জানান সকলে।
সংস্থার কর্ণধার অরিন্দম ভৌমিক জানান , অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার বীর সন্তান বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহ চালু করেছিলেন। তাঁর স্বপ্নকে সার্থক করার প্রয়াস তাঁরা চালিয়েছেন মাত্র। বিয়েতে ইচ্ছুক বিধবা ও উপযুক্ত পাত্রের খোঁজ খবর চালান, দুমাস ধরে এই প্রক্রিয়া চলে। বেছে নেওয়া হয় আজকের দিনটিকে।
স্বপন বাবুর দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলের নাম পিলু এবং ছোট ছেলের নাম শম্ভু। পাত্রীর আগের পক্ষের কোন সন্তান নাই। নতুন মাকে পেয়ে খুশি শম্ভু ও পিলু। বিয়ের পর নব দম্পতি জানান , আজ থেকে তাঁরা আবার নতুন করে জীবন শুরু করবেন, উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584