পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
এক ব্যক্তিকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্ত্রী ছেলে ও মেয়ের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম সুধাকর সূএধর। তিনি দাবি করেন তাকে শ্মশান কালীর সামনে বলি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সাঁইথিয়া শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের শিবতলা পাড়ায়। মা ও মেয়েকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, পলাতক ছেলে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে আক্রান্ত ব্যক্তি হলেন সুধাকর সূত্রধর(৭০)। পেশায় তিনি কাঠের মিস্ত্রী ছিলেন। অভিযোগ স্ত্রী সরস্বতী সূত্রধর ছেলে ব্রজগোপাল সূত্রধর এবং মেয়ে কাঞ্চন সূত্রধর তিনজন মিলে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত্রে তাকে প্রথমে লাঠিসোটা নিয়ে ব্যাপক মারধর করে পরে ভোজালি নিয়ে কোপাতে যায় ছেলে। এই সময়ই সুধাকর বাবু বাড়ি ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে স্থানীয় বীণাপাণি ক্লাবে আশ্রয় নেয়। পরে তাদের সাহায্য নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। ঘটনায় সাঁইথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় স্ত্রী ছেলে ও মেয়ের বিরুদ্ধে। স্ত্রী ও মেয়েকে গ্রেফতার করেছে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। প্রতিবেশীদের দাবি সুধাকর সূত্রধরের ব্যাপারে পরিবারের কাছে খোঁজখবর নিতে গেলে তারা জানাত বৃন্দাবনে বেড়াতে গিয়েছে।
সুধাকর বাবু বলেন,” বিগত পয়লা বৈশাখ থেকে বাড়ির একটি ঘরের মধ্যে আমাকে আটকে রাখে। এই সময় আমাকে নিয়মিত মারধর এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। তারপর ওই রাতে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা। আমার স্ত্রী শ্মশান কালী পুজো করে আমাকে আধমরা করে তারপর মা কালীর সামনে বলি দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল ওদের”। যদিও সুধাকর সূত্রধর মুখে বলি দেবার কথা বললেও পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে কোথাও তিনি লেখেননি যে তার স্ত্রী ছেলে এবং মেয়ে তাকে কালী ঠাকুরের সামনে বলি দিতে চেয়েছিল। বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার শ্যাম সিং জানিয়েছেন একজন বৃদ্ধ মানুষ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছে তবে তাকে নরবলি দেওয়া হবে এটা সর্বৈব ভুল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584