মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরের দিনই রমরমিয়ে চললো চোলাই মদের ব্যবসা

0
66

শ্যামল রায়,কালনাঃ
শান্তিপুর বিষমদ কান্ডের ঘটনায় টনক নড়েনি আবগারি এবং পুলিশ বিভাগের কর্মীদের। শনিবারও কালনা কাটোয়া মহকুমা সহ বিভিন্ন এলাকায় অনায়াসে চোলাই মদ বিক্রি চোখে পড়েছে অনেকের,অথচ শুক্রবারে কালনা শহরের অঘোরনাথ পার্কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোলাই মদ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন আবগারি বিভাগ ও পুলিশ বিভাগকে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে কড়া হাতে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং যারা মদ খায় তাদের কেউ সচেতন সজাগ করতে হবে।শনিবারেও দেখা গেল ব্যান্ডেল কাটোয়া রেল শাখার বিভিন্ন প্লাটফর্মের নিচেই অনায়াসে চোলাই মদ বিক্রি হচ্ছে।আরো অভিযোগ যে রাতের অন্ধকারে নদীপথেও এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চোলাই মদ পাচার হয়ে যায়।শান্তিপুরের নৃসিংহদেবপুর এর যে চোলাই মদ বিক্রি হয় সেই সব মদ বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গা থেকে নদীপথে ওখানে পৌঁছে যায় বলে অভিযোগ।এছাড়াও ভাগিরথী সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় মদের ঠেক দেখা যায়।
বিভিন্ন নদীপথে নৌকা থেকে নামে থলি ভর্তি পেপসি।এক কথায় বলা যেতে পারে চোলাই মদ। ওই সব পেপসি বোতল ভর্তি থাকে এবং দ্রুত হাত বদল হয়ে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যায়।
লোকচক্ষুর আড়ালে নদীর পাড়ে থলি গুলো নামানো হয়।অপেক্ষায় থাকেন কিছু ছায়ামূর্তি থলি নামানো হলেই সেগুলো নিয়ে অন্ধকারে মিলিয়ে যায় সেইসব লোক।যদিও পুলিশ সূত্রে খবর সম্প্রতি সড়কপথে ধরপাকড় বেড়ে যাওয়ায় চোলাই মদের ব্যবহারকারীরা তাদের পথ বদল করতে শুরু করেছে।যদিও চোলাই মদ বিক্রি হচ্ছে সেটা স্বীকার করতে নারাজ পুলিশ।অভিযোগ যে অল্প খরচে নেশার জন্য সমাজের একশ্রেণীর মানুষের পছন্দ এইসব চোলাই মদ। যারা দিন আনে দিন খায় তাদের পক্ষে কম পয়সায় নেশা মেটাতে এসব চোলাই মদ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।বিভিন্ন শহর ঘেষা মূলত রেলস্টেশন বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় জুলাইয়ে ঠিক গজিয়ে ওঠে এবং ওখান থেকেই সহজলভ্য ভাবে চোলাই মদ খেয়ে থাকেন বিভিন্ন মানুষ।এছাড়াও বিভিন্ন ইটভাটা গুলি সংলগ্ন আদিবাসী এলাকায় মদের ভাটির সন্ধান আগেও ছিল এখনো রয়েছে শান্তিপুরের ঘটনায় এখনও টনক নড়েনি যারা মদ খান তাদের কাছে যেমন তেমনি পুলিশের তৎপরতা তেমন একটা লক্ষণীয় নয়।তবে পুলিশ জানিয়েছে চোলাই এর অন্যতম উৎস স্থল এখন হুগলি জেলা।বিশেষ করে বলাগড় এলাকার বগা মগরা এলাকায় থেকে বিভিন্ন উপায়ে এই সমস্ত চোলাই চলে আসে নদীয়ার বিভিন্ন এলাকায়।বেশিরভাগটা আসে নদীপথে কিছুটা আসে কল্যাণীর ইশ্বরচন্দ্র সেতুর উপর দিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে ঢোকে নদীয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে।প্রশাসনের সর্বস্তরে অভিযোগ অনেকেই জানান কিন্তু মাঝেমধ্যে অভিযান চলে তখন আবার বন্ধ হয়ে যায়,তাই এলাকার মানুষের অভিযোগ লাগাতারভাবে পুলিশের নজরদারি সাথে ধরপাকড় হলেই এ সমস্ত কারবার অনেকটাই বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকার ঠিক গুলো ভাঙা দরকার বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন যাত্রী সাধারণের থেকে শুরু করে বাসিন্দারা।কালনা রেলস্টেশন নবদ্বীপ সহ বিভিন্ন রেলস্টেশন এর আশপাশ এলাকায় এই ধরনের চোলাই মদের ঠেক খুব নজরে পড়ে এগুলো এদের নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা থাকেন তাদের নজরদারি সাথে ভেঙে ফেলার দাবি জানান এলাকাবাসী।

আরও পড়ুনঃ শৌচাগারে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গৃহবধূর মৃত্যু

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here